ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পটনার দিঘা এলাকার বেসরকারি স্কুলে। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে তিন জনকে আটক করেছে। সেই এলাকার পুলিশ সুপার চন্দ্র প্রকাশ জানিয়েছেন শিশুটিকে স্কুলে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল, তার পরে আর সে স্কুল থেকে বেরোয়নি।
আরও পড়ুন: ট্রেনের মিডল বার্থে টিকিট কেটেছেন? ইচ্ছে হলেই ঘুমাতে পারবেন না, নির্দিষ্ট নিয়ম আছে রেলের
advertisement
তিনি বলেন, “সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে শিশুটি স্কুলে ঢুকেছে, কিন্তু তাকে আর স্কুল থেকে বেরোতে দেখা যায়নি। আমরা এটিকে খুনের ঘটনা ধরে নিয়েই তদন্ত করব, কারণ মনে হচ্ছে মৃতদেহ লোপাট করার জন্যই নালা দেহটিকে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমরা তিন জনকে আটক করেছি, ঘটনার তদন্ত চলছে।”
জানা গিয়েছে শিশুটি স্কুলে এলেও সময় মতো বাড়ি না ফিরলে শিশুটির বাবা-মা সন্তানের খোঁজ শুরু করেন। স্কুল কর্তৃপক্ষ শিশুটির না ফেরা নিয়ে কোনও সদুত্তর দিতে পারায় স্কুল কর্তৃপক্ষের উপরে সন্দেহ হয় শিশুটির বাবা-মার। তার পর সারা স্কুল তন্নতন্ন করে খুঁজে দেখা পরে স্কুলের নর্দমা থেকে শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করেন তাঁরা।
শিশুটির বাবা-মার দাবি স্কুল কর্তৃপক্ষ আসল ঘটনাটি চেপে যাওয়ার চেষ্টা করছে। ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। এলাকার মানুষ রাস্তা অবরোধ করে প্রতিবাদ করেন, তার পরে তারা স্কুলে আগুন লাগিয়ে দেন। ঘটনা সামাল দিতে এলাকায় নামে বিশাল পুলিশবাহিনী। সাধারণ মানুষের কাছে এলাকায় শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।