মঙ্গলবার দিল্লিতে পৌঁছন মমতা। বুধবারের বৈঠকের আহ্ববান তিনি আগেই করেছিলেন। মঙ্গলবার দিল্লিতে পৌঁছেই শরদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। সন্ধ্যা নাগাদ সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি জানিয়ে দেন, শরদ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে লড়তে চান না। এনসিপির অন্দর থেকেও সেই রবই তৈরি হয়। শরদের সরে দাঁড়ানোর বিষয়টি স্পষ্ট হতেই নতুন নাম নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু হয়। মঙ্গলবার এক বার উচ্চারিত হয় গুলামনবি আজাদের নামও। কিন্তু সূত্রের খবর, বিরোধীদের একটা বড় অংশ গোপালকৃষ্ণ গান্ধির নামকেই সমর্থন করেছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: একসঙ্গে চাকরি গেল ২৬৯ জন শিক্ষকের, প্রাথমিক টেট দুর্নীতিতেও সিবিআই নির্দেশ হাইকোর্টের
জুলাই মাসের ১৮ তারিখে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। তার আগে, মোট ২২টি বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলকে একটি বৈঠকে আহ্ববান জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে বুধবার হাজির হয়েছে কংগ্রেস, এনসিপি, আরজেডি, ন্যাশনাল কংগ্রেস, সিপিএম, সিপিআই, জেএমএম, শিবসেনা, আইইউএমএল, পিডিপি, জেডিএস ও আরএলডি-এর মতো দল। তবে মিটিংয়ে থাকতে অস্বীকার করেছে বিজেডি, আমআদমিপার্টি, তেলঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি ও শিরোমণি অকালি দলের মতো সংগঠন। কংগ্রেস থাকার কারণে সরে এসেছে টিআরএস ও শিরোমণি অকালি দল।
আরও পড়ুন: বড় ঘোষণা উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের, একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ফলাফল কবে? জানাল সংসদ
গোপালকৃষ্ণ গান্ধিকে বিরোধী শিবির প্রার্থী করতে চাইলেও তিনি সময় চেয়েছেন বলেই খবর। ২০১৭ সালে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তিনি লড়াই করেছিলেন, কিন্তু এম ভেঙ্কাইয়া নাইডুর কাছে তিনি পরাস্ত হন। সূ্ত্রের খবর, কয়েকজন বিরোধী নেতা গান্ধির সঙ্গে ইতিমধ্যে ফোনে কথাও বলেছেন, অনুরোধ করেছেন প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিতে। যদি কোনও কারণে গান্ধি রাজি না হন, তা হলে অন্য কয়েকটি নামও ভেবে রেখেছে শিবির, তাঁদেরও অনুমতি চেয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে। গোপালকৃষ্ণ গান্ধি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ছিলেন ২০০৪ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত।