পূর্ত দফতরের কর্তাদের কথায়, নব নির্মিত এই সেতু কতটা নিরাপদ, আইআইটি খড়্গপুর ও রেলের বিশেষজ্ঞরা আলাদাভাবে তা খতিয়ে দেখছে। দেখা হচ্ছে, প্রযুক্তিগতভাবে কতটা ভার বহণের উপযুক্ত হয়েছে সেতুটি। ১৫ সেপ্টম্বরের মধ্য তারা রাজ্য সরকারকে রিপোর্ট দেবে। এই রিপোর্ট পাওয়ার পরই পূর্ত দফতর থেকে সেতু উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সময় চাওয়া হবে। তাই এখনই উদ্বোধনের দিন ক্ষণ পূর্ত দফতর থেকে নির্দিষ্ট করে বলতে নারাজ।
advertisement
আরও পড়ুন: পুজোর পরেই 'প্রাথমিকে' নিয়োগ! ২০ হাজারের বেশি শূন্যপদে শিক্ষকের চাকরি! সিলমোহর বৈঠকে
পাশাপাশি পূর্ত দফতরও এই সেতুর ভার বহণ ক্ষমতা আলাদাভাবে পরীক্ষা করার পরই সব ধরনের যান চলাচলের অনুমতি দেবে। সেটা হবে পুজোর পর। তার আগে সেতু উদ্বোধন হলেই হালকা যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত,২০২০ সালে জানুয়ারি মাসে উত্তর শহরতলির সঙ্গে কলকাতার প্রধান যোগ সূত্র এই ১০৯ বছরের পুরনো সেতু দুর্বল হয়ে পড়ায় ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে সেতুতে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেই বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে নতুন করে এই সেতু নির্মাণের জন্য পুরনো সেতু ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয়। নতুন করে সেতু নির্মাণের খরচ ধরা হয়েছে সাড়ে তিনশো কোটি টাকা। রেলের অনুমতি মিলতে কিছুটা দেরি হওয়ায় নির্মাণ কাজে দেরি হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ২০০ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার কলকাতা বন্দরে! গুজরাত এটিএসের অভিযানে বড়সড় সাফল্য
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন পুজোর আগেই যাতে টালা ব্রিজ চালু করা যায়। টালা ব্রিজ-এর উপর নির্ভর করে উত্তর কলকাতা সংলগ্ন একাধিক জায়গায় যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ফের সচল করা যাবে। পাশাপাশি পুজোর আগে অন্তত দু-চাকা বা চার-চাকার গাড়ি চললে টালা ব্রিজের মাধ্যমে উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর মহাকুমার সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও বেশি সচল করা যাবে। তাই সব দিক মাথায় রেখেই ধাপে ধাপে টালা ব্রিজকে সচল করতে চায় রাজ্যের পূর্ত দফতর।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়