প্রয়াগরাজ: মামলা চলছে বহু বছর ধরে। SDM জ্যোতি মৌর্য এবং তাঁর স্বামী অলোক মৌর্যের মধ্যে চলমান বিবাদে এবার নতুন মোড়ছে। অলোক মৌর্য তাঁর স্ত্রী জ্যোতি মৌর্যের কাছ থেকে ভরণপোষণ ভাতা দাবি করে এলাহাবাদ হাইকোর্টে একটি আবেদন করেছেন। হাইকোর্ট এই বিষয়ে জ্যোতি মৌর্যকে নোটিস জারি করেছে এবং আপিলের একটি অনুলিপি রেজিস্টারড ডাকযোগে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৮ অগাস্ট, ২০২৫ তারিখে।
advertisement
মামলাটি দেশ জুড়ে আলোচনায় উঠে আসে যখন একজন স্যানিটেশন কর্মী অলোক মৌর্য তাঁর স্ত্রী এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা জ্যোতি মৌর্যের মধ্যে সম্পর্কের বিরোধের কথা প্রকাশ্যে আনেন। অলোক আজমগড়ের পারিবারিক আদালতে অন্তর্বর্তীকালীন ভরণপোষণের জন্য একটি আবেদন করেছিলেন, যেখানে তিনি দাবি করেছিলেন যে তিনি বিভিন্ন রোগে ভুগছেন এবং সরকারে একটি গৌণ পদে নিযুক্ত ছিলেন, যেখানে তাঁর স্ত্রী একজন সিনিয়র প্রশাসনিক কর্মকর্তা! তবে, পারিবারিক আদালত ৪ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয়।
পারিবারিক আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করেন অলোক মৌর্য এলাহাবাদ হাই কোর্টে প্রথম আপিল দায়ের করেছেন। এই আপিলটি ৭৭ দিন বিলম্বে দাখিল করা হয়েছিল, যার জন্য তিনি ডিক্রি না পাওয়ার কারণে বিলম্ব মকুবের জন্যও আবেদন করেছেন। বিচারপতি অরিন্দম সিনহা এবং বিচারপতি ড. যোগেন্দ্র কুমার শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি শুনানি করে। আদালত আপিল এবং বিলম্ব মকুবের আবেদনের উপর নোটিস জারি করার নির্দেশ দিয়েছে।
হাইকোর্ট আপিলকারীকে রেজিস্টার্ড পোস্ট/স্পিড পোস্টের মাধ্যমে নোটিস প্রদানের জন্য প্রসেসিং ফি-সহ একটি সেট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এর পাশাপাশি আদালত ৪ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখের পারিবারিক আদালতের নির্দেশের ইংরেজি অনুবাদ দাখিল করারও নির্দেশ দিয়েছে। এই বিষয়টি কেবল ব্যক্তিগত বিরোধের কারণেই নয়, সামাজিক ও প্রশাসনিক স্তরেও আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। হাই কোর্টের এই নোটিসের পরে সকলের দৃষ্টি ৮ অগাস্ট, ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য পরবর্তী শুনানির দিকে।
বলে রাখা উচিত হবে যে ইতিপূর্বে উত্তরপ্রদেশের সুপরিচিত মহিলা পিসিএস অফিসার জ্যোতি মৌর্য তাঁর স্বামী অলোক কুমার মৌর্যের থেকে আলাদা হওয়ার জন্য পারিবারিক আদালতে আবেদন করেন। পিসিএস অফিসার হওয়ার পর জ্যোতি মৌর্য এবং অলোক মৌর্যের মধ্যে সম্পর্কে ফাটল দেখা দেয়। এর পর জ্যোতি মৌর্য প্রয়াগরাজের ধুমানগঞ্জ থানায় পারিবারিক সহিংসতা এবং যৌতুক নির্যাতনের মামলাও দায়ের করেন। স্বামী অলোক জ্যোতি মৌর্যের বিরুদ্ধে হোম গার্ড কমান্ড্যান্ট মণীশ দুবের সঙ্গে সম্পর্ক এবং ঘুষ নেওয়ার অভিযোগও করেছিলেন। তবে পরে তদন্ত কমিটির সামনে স্বামী অলোক মৌর্য সমস্ত অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন।