প্রশান্ত কিশোর আগেই জানিয়েছিলেন, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা যখন করব, তখন আরজেডি সভাপতি লালু প্রসাদ যাদব এবং জেডিইউ সভাপতি নীতীশ কুমারের মতো নেতাদের দাঁতে ব্যথা হবে। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, আমাকে ধাক্কা দেওয়া তাদের ক্ষমতায় নেই। বিহারে পদযাত্রা করা কিশোর বলেন, ”জন সুরজ সমাজের মানুষের কথা বলবে। নীতীশ কুমার ও লালু প্রসাদ যাদব আমাকে ধাক্কা দিতে পারবেন না।”
advertisement
আরও পড়ুন: ভোটের ‘সাফল্য’ আসতেই বড় সিদ্ধান্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের! ১১ জুন সব নজর নবান্নে
তিনি বলেন, ”আমি যদি বিহারে লড়ি, তাহলে এত শক্তি দিয়ে লড়ব যে এই সব নেতার দাঁত ভেঙে যাবে। আপনারা নিশ্চয়ই পশ্চিমবঙ্গে আমার কাজ দেখেছেন। সমাজে অনেক মানুষ আছে যারা শুধু লড়াই করার জন্য লড়াই করে। আমি তাদের মধ্যে নই।” কিশোর আরও বলেন, ”আমি বিহারের ছেলে। সারা দেশের নেতারা যখন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময় আমার কাছে পরামর্শ চান, তখন এই নেতারা আমাকে নিয়ে কী করবেন? সমাজের মানুষ একবার উঠে দাঁড়ালে জনশক্তির সামনে কোনও শক্তিই দাঁড়াতে পারবে না।”
পিকে-র কথায়, ”আপনি যদি যুদ্ধ করতে আসেন, তাহলে ধরে নিন আপনিও আপনার মনে বিজয়ের নীলনকশা নিয়ে এসেছেন। আমরা চিন্তা করে এখানে এসেছি, এটি একটি কঠিন কাজ। এটি করতে কতটা শক্তি প্রয়োগ করতে হবে, কত ঘাম ঝরাতে হবে, কত ব্যবস্থা করতে হবে, তা আমি জানি। সবকিছু চিন্তা করেই আমরা বিহারে এসেছি।” প্রশান্ত কিশোর আরও বলেন, ”এই সব নেতারা ভাবছেন আমরা রাজনৈতিক ভাবে ধাক্কাধাক্কি করব। কিন্তু তা যারা ভাবছেন, তারা ভুল ভাবছেন।”
