ট্যুইটারে প্রশান্ত কিশোর লিখেছেন, 'ভারতের জন্য যে লড়াই তা ২০২৪-এই হবে এবং তখনই তার ফল নির্ধারিত হবে, কোনও রাজ্যের নির্বাচনের ফলে নয়৷ সাহেব এটা ভাল ভাবেই জানেন৷ সেই কারণেই বিধানসভা ভোটের ফল নিয়ে এই উন্মাদনা তৈরি করে বিরোধীদের উপরে মনস্তত্ত্বিক চাপ তৈরির কৌশল নিয়েছেন তিনি৷ এই মিথ্যে প্রচারের ফাঁদে পড়বেন না বা অংশ হবেন না৷'
advertisement
আরও পড়ুন: রাজ ভবন নয়, পঞ্জাবের এই গ্রামে শপথ নেবেন ভাবী মুখ্যমন্ত্রী ভগওয়ান্ত মান! কেন?
২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে উত্তর প্রদেশের ভোটকে সেমি ফাইনাল হিসেবে ধরা হচ্ছিল৷ ২০১৭-র তুলনায় প্রায় পঞ্চাশটি আসন কমলেও উত্তর প্রদেশে ২৭৩টি আসন পেয়েছে বিজেপি৷
উত্তরাখণ্ড, মণিপুরেও জয়ী হয়েছে বিজেপি৷ গোয়াতেও সরকার গড়তে চলেছে তারা৷ এই ফলেই উৎফুল্ল বিজেপি শিবির ধরে নিয়েছে ২০২৪-এর অর্ধেক কাজ এখনই হয়ে গেল৷ অন্তত প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়াতেই তা স্পষ্ট৷
আরও পড়ুন: '২০২৪-এর ফল লুকিয়ে উত্তর প্রদেশ জয়ে', দলীয় কর্মীদের সামনে দাবি মোদির
বিরোধীদের মতোই প্রশান্ত কিশোর এই দাবির সঙ্গে সহমত নন৷ প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের সময়ও প্রশান্ত কিশোর পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, বিজেপি তিন অঙ্কে পৌঁছবে না৷ শেষ পর্যন্ত তাঁর কথাই মিলে গিয়েছিল৷
মাঝে কিছু দিন তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে প্রশান্ত কিশোর ও তাঁর সংস্থার দূরত্ব নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছিল৷ যদিও দু'দিন আগে তৃণমূলের সাংগঠনিক সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রশান্ত কিশোরের উপস্থিতি সেই জল্পনায় জল ঢেলেছে৷ তৃণমূলের হয়ে বিরোধীদের মধ্যে সমন্বয় সাধনের ভূমিকাও নিতে গিয়েছে প্রশান্ত কিশোরকে৷ পাঁচ রাজ্যের ফলে বিজেপি শিবির যতই উৎফুল্ল হোক না কেন, প্রশান্ত কিশোর যে এখনই হাল ছাড়ছেন না, তা স্পষ্ট করে দিলেন তিনি৷
