সোমবার থেকে ঘটনার সূত্রপাত। সেদিন বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ হঠাৎই বিচারপতি মান্থার এজলাসের বাইরে বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন আইনজীবীদের একাংশ। বিচারপতির এজলাসে ঢুকতেও মানুষকে বাধা দেওয়া হয়। শুরু হয়ে যায় ধাক্কাধাক্কি, মারপিঠ। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে নিজের এজলাস ছেড়ে বেরিয়ে এসে বিষয়টিতে মধ্যস্থতা করতে বাধ্য হন স্বয়ং প্রধান বিচারপতিও। প্রায় ২ ঘণ্টা পরে অচলাবস্থা কাটে কলকাতা হাইকোর্টে। পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবারের সেই ঘটনায় ব্যাঙ্কশাল আদালতের কাছে হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করার আবেদন জানানো হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন- ২৩-এর বিশ্বকাপে বিরাট, রোহিতদেরই এগিয়ে রাখছেন সনৎ জয়সূর্য
কিন্তু, আদালতের সেই উত্তাপ এসে পৌঁছয় বিচারপতি মান্থার বাড়ির দোরগোড়া পর্যন্ত। দেখা যায়, বিচারপতির বাড়ির উল্টোদিকের আবাসন সহ একাধিক আবাসন, দোকানের পাঁচিল, বাস স্ট্যান্ড, বিদ্যুৎ ট্রান্সফরমার, পার্কের পাঁচিল, পুরসভার ময়লা ফেলার জায়গা সহ বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার। বিচারপতির যাতায়াতের রাস্তায় ছিল এমনকি যোধপুর পার্ক বাজারেও দেখা গিয়েছিল সেই পোস্টার। খবর যায় পুলিশে।
আরও পড়ুন- একশো টাকা দিলেই ইউএসজি! বর্ধমান মেডিক্যালে ফের সক্রিয় দালালচক্র
মঙ্গলবার সকাল পুরকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে লেক থানমার পুলিশ সেই পোস্টার ছেঁড়ার কাজ শুরু করে। যোধপুর পার্ক এলাকায় একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, রাত ১২.০৮ মিনিটের পরে প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বেশ কয়েকজন ওই পোস্টার লাগিয়েছে। কে বা কারা এই পোস্টার লাগানোর পিছনে ছিল তা তদন্ত করছে পুলিশ। পোস্টারিংয়ের ঘটনায় আলিপুর আদালতে লেক থানা অভিযোগ দায়ের করার আবেদন জানালে তা মঞ্জুর হয় বলে সূত্রের খবর।
গোটা চাপানউতোরের জেরে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বাড়ির সামনে রাখা হয়েছে বাড়তি পুলিশ বাহিনী। থাকছে, কলকাতা পুলিশের পিসিআর ভ্যান সহ ছ'জন পুলিশ কর্মী।