ডক্টর কেন্ডাল করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই কাজ করে চলেছেন আক্রান্তদের রোগীদের নিয়ে। দীর্ঘ সময় ধরে যা পর্যবেক্ষণ করেছেন, সেটারই একটা নমুনা নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন তিনি। সেই ট্যুইটার (Twitter) পোস্টে দেখা যাচ্ছে ফুসফুসের তিনটি এক্স-রে প্লেট। একটি সম্পূর্ণ ভাবে সুস্থ ব্যক্তির ফুসফুসের ছবি, দ্বিতীয়টি জনৈক ধূমপায়ীর আর তৃতীয়টি কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত রোগীর। কেন্ডাল একে একে এই তিন ছবির সূত্রে ব্যাখ্যা করেছেন বিষয়টির ভয়াবহতা। বলছেন, প্রথম ছবিতে অনেক বেশি পরিমাণে কালো জায়গা দেখা যাচ্ছে ফুসফুসে। তার মানে এই ফুসফুস সুস্থ, অনেক বেশি পরিমাণ বাতাস সে ভিতরে টেনে নিতে পারছে।
advertisement
এর ঠিক পরেই ডক্টর কেন্ডাল ধূমপায়ীর ফুসফুস কেমন হয়ে থাকে, তা আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। এই ফুসফুসের ছবিটি তত স্পষ্ট নয়, অনেকগুলো সাদা দাগে ভরা। অর্থাৎ ধূমপানের নেতিবাচক প্রভাবে ফুসফুস ফুলতে শুরু করেছে এবং তার প্রাচীর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই তুলনায় কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত ব্যক্তির ফুসফুসের ছবি রীতিমতো ভয় পাইয়ে দেয়। এই ছবিটি পুরোটাই সাদা, কিছুই বোঝার উপায় নেই! স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে ভাইরাসের সংক্রমণে কী পরিমাণ দুর্বল হয়ে পড়েছে শ্বাসযন্ত্র!
আতঙ্কের ব্যাপার এই যে করোনা থেকে সেরে উঠলেও ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভালো হচ্ছে না রোগীদের, জানিয়েছেন ডক্টর কেন্ডাল। যাঁরা উপসর্গহীন, তাঁদেরও ফুসফুসও একই রকম ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি। এই সূত্রে তাঁর বক্তব্য- করোনা বিদায় নিলেও পৃথিবীকে শ্বাসকষ্টের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে!