কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, যে পাঁচ রাজ্যে ভোট ঘোষণা হয়েছে, সেখানে কোথাও এখনও অর্ধেক, কোথাও অর্ধেকের বেশি জনসংখ্যার দু' টি ডোজ টিকাকরণ হয়নি (Covid 19 Vaccination)। ২০১১-র জনগনণা এবং ২০২১ এর সম্ভাব্য জনসংখ্যা বিবেচনা করে এই হিসেব করা হয়েছে। সেই হিসেবে দেখা গিয়েছে, ভোটমুখী পাঁচ রাজ্যের মধ্যে টিকাকরণের হারের নিরিখ সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে মণিপুর।
advertisement
আরও পড়ুন: করোনা সংক্রমিত দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, সিপিএম নেতা প্রকাশ ও বৃন্দা কারাত
কো উইন-এর তথ্য অনুযায়ী, মণিপুরের মোট ২৩ লক্ষ ৪ হাজার জনসংখ্যার মধ্যে দু'টি ডোজ দেওয়া হয়েছে মাত্র ১০ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্ককে৷ অর্থাৎ মণিপুরে ৪২ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের দু'টি ডোজ টিকাকরণ হয়েছে।
পঞ্জাবে প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের সংখ্যা ২ কোটি ৭০ লক্ষ। যদিও দু'টি ডোজই টিকাকরণ হয়েছে মাত্র ৯৯ লক্ষের। ফলে পঞ্জাবে ৪৪ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক নাগিরকের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে সরকারি তথ্যে।
আরও পড়ুন: চায়ের দোকানে আর আড্ডা নয়, টানা সাত দিন বন্ধের নির্দেশ বর্ধমানে
সবচেয়ে বড় এবং রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভোটমুখী রাজ্য উত্তরপ্রদেশে প্রাপ্তবয়স্কদের সংখ্যা ১৪ কোটি ৭৪ লক্ষ। তাঁদের মধ্যে দু'টি ডোজের টিকা পেয়েছেন ৭ কোটি ৮৫ লক্ষ মানুষ, অর্থাৎ ৫৩.৩ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখনও পর্যন্ত দু'টি ডোজের টিকাকরণ হয়েছে ৬৩.০৭ কোটি নাগরিকের, যা দেশের মোট জনসংখ্যার ৬৭ শতাংশ। উল্লেখিত তিন রাজ্যের মোট প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিকের সংখ্যা ১৭ কোটি। তারমধ্যে দ্বিতীয় ডোজের টিকাকরণ হয়েছে ৮ কোটি ৯৫ লক্ষ নাগরিকের। প্রায় ২ কোটি নাগরিকের এখনও প্রথম ডোজের টিকাই নেওয়া হয়নি।
ভোটমুখী পাঁচ রাজ্যে মোট সম্ভাব্য প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের সংখ্যা ১৮ কোটি। ফলে দু'টি করে ডোজের টিকা দিতে প্রয়োজন ৩৬ কোটি ডোজ। যদিও এখনও পর্যন্ত ব্যবহার হয়েছে ২৬ কোটি ডোজ টিকা। এখনও পর্যন্ত বাকি রয়েছে ১০ কোটি ডোজ টিকা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত শনিবার উত্তরপ্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। ১০ ফেব্রুয়ারি উত্তরপ্রদেশের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সমস্ত ভোটকর্মীর দু'টি করে টিকাই নেওয়া হয়ে গিয়েছে এবং ভোটের আগে তাঁদের বুস্টার ডোজও দেওয়া হবে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের কোউইন অ্যাপের তথ্য অনুযায়ী এই ৫ রাজ্য টিকাকরণে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে।