কেন্দ্রীয় অর্থসচিব অশোক লাভাসা থেকে রাজস্ব সচিব হাসমুখ আঢ়িয়া জানিয়েছেন, রাজনৈতিক দলের অ্যাকাউন্টে যত পরিমাণ বাতিল নোট বা টাকা জমা পড়ুক না কেন, তাতে কখনই আয়কর দফতর হস্তক্ষেপ করবে না ৷ কারণ, রাজনৈতিক দলগুলিকে কোনও কর দিতে হয় না ৷ তাই দলীয় অ্যাকাউন্ট বা রাজনৈতিক দলগুলি আয়কর আইনের আওতার বাইরে ৷ এই অ্যাকাউন্টে জমা পড়া টাকার উৎস কখনই জানতে চাইতে পারে না আয়কর দফতর ৷ অতএব কোনও উর্ধ্বসীমা ছাড়াই সমস্ত পার্টির কোষাধ্যক্ষরা যত খুশি নোট জমা দিতে পারেন ৷
advertisement
নোট বাতিল ঘোষণার পরবর্তী সময়ে বহুবার বিভিন্ন ঘোষণায় পাল্টে গিয়েছে নোটবিধি ৷ কিন্তু এই নতুন বিধি শুনে রাজনৈতিক মহলের একাংশ যারপর নাই খুশি হলেও অপর অংশে প্রশ্ন উঠেছে, রাজনৈতিক নেতারা এই নিয়মের আড়ালে নিজেদের কালো টাকাকে সাদা করে ফেলবেন না তার নিশ্চয়তা কোথায়? একইসঙ্গে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে এই নিয়মের ফাঁক ৷
বহু বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলেছেন, নোট বাতিল সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে কালো টাকা সাদা হওয়া আটকাতে কি আয়কর আইনের এই বিধিটি সংশোধন করা যেত না? আইনের ফাঁক গলে এবার যে কালো টাকা সোজা পথে সাদা হবে না তা কে বলতে পারে? সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, আয়কর আইনের এই ফাঁকটি কাজে লাগিয়ে রাজনৈতির নেতারা নিজেদের কালো টাকা পার্টি অ্যাকাউন্টে জমা দিয়ে তা সাদা করিয়ে নেবেন ৷ একই সঙ্গে পার্টি ফাণ্ডে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অসৎ শিল্পপতিরাও নিজেদের কালো টাকা সাদা করিয়ে নেওয়ার ফায়দা লুটবে ৷