পুলিশ জানিয়েছে, বিধু এবং সুপ্রিয়া দুই জনই সম্পর্কে আত্মীয়। ভ্যালেন্টাইন্স ডে উপলক্ষ্যে গোয়া ঘুরতে গিয়েছিলেন তাঁরা। পরের দিন রাতে বিধুর দেহ জলে ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। এর কিছুক্ষণ পরে উদ্ধার হয় সুপ্রিয়ার দেহ। স্থানীয়দের দাবি, তাঁরা চিৎকারের শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন। সেই শব্দ শুনে তাঁরা সেখানে গিয়ে ওই যুবক এবং যুবতীকে জলে ভাসতে দেখেন।
advertisement
পরে পুলিশ এসে দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে, জলে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে ওই যুবক এবং যুবতীর। তাঁদের মোবাইল ফোন আনলক করে পুলিশ বাড়ির সদস্যদের বিষয়টি জানায়। তখনই জানা যায় যে, বাড়ির সদস্যদের কোনও কিছু না জানিয়েছে ওই যুবক এবং যুবতী গোয়া এসেছিলেন। বিধু বেঙ্গালুরুতে এক নামী বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত এবং সুপ্রিয়া দিল্লিতে একটি সংস্থায় কাজ করেন।
তবে ঘটনার সঙ্গে চুরি কিংবা ডাকাতির কোনও ঘটনার যোগ নেই বলে আপাতত ভাবে মনে করছেন তদন্তকারীরা। কারণ, ওই যুবক এবং যুবতীর দামী মোবাইল ফোন, গয়না এবং টাকা হোটেলে রয়েছে। কোনও সামগ্রীই গায়েব হয়নি। স্থানীয় সূত্রে পুলিশ জানতে পেরেছে, রাতে ডিনার এবং ককটেল পার্টি করেন ওই যুবক এবং যুবতী। তারপরেই সম্ভবত সমুদ্র তীরে এসেছিলেন।
আরও পড়ুন, মস্কো থেকে গোয়াগামী বিমানে ফের বোমাতঙ্ক! ২৪০ জন যাত্রী নিয়ে উজবেকিস্তানে অবতরণ
আরও পড়ুন, দেখা যাচ্ছে না কর্মসূচিতে, গরহাজির মিটিংয়েও, গোয়ার তৃণমূল নেতাকে ঘিরে জল্পনা
আপাতত তদন্তকারীদের ধারনা, বিধু ডুবে যাচ্ছিলেন। তাঁকে বাঁচাতে গিয়েছিলেন সুপ্রিয়া। পরে তিনিও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জলে ডুবে যান। দু জনের দেহ সমুদ্রতীরে আলাদা আলাদা জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।