উপত্যকায় চিকিৎসা চলছে আহত ওই জঙ্গির ৷ সেখানেই সংবাদ সংস্থার প্রতিনিধিদের সে জানিয়েছে আরও চার-পাঁচজনের সঙ্গে সে ভারতীয় সীমায় ঢোকার চেষ্টা করেছিল ৷ ট্যুইটারে শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা গিয়েছে তাবারক হুসেন স্বীকার করছে যে আরও দু’ তিন জন ঘনিষ্ঠের সঙ্গে সে ভারতীয় সীমায় রেকি চালিয়ে অপেক্ষা করছিল উপযুক্ত সময় ও সুযোগের ৷
advertisement
পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কোটি এলাকার সবজকোট গ্রামের বাসিন্দা এই তাবারক হুসেন অনুপ্রবেশের সময় ভারতীয় সেনার হাতে ধরা পড়ে ৷ তার নিজের কথায়, ‘‘আরও চার পাঁচজনের সঙ্গে আমি এখানে একটি আত্মঘাতী হামলার উদ্দেশে এসেছিলাম ৷ আমাদের পাঠিয়েছিল পাকিস্তানি সেনার কর্নেল ইউনুস চোধুরি ৷ ভারতীয় সেনাকে লক্ষ্য করে আক্রমণ করার জন্য ৩০ হাজার টাকা দিয়েছিল ৷ ভারতীয় সেনার ১-২ টো চৌকিতে রেকিও করেছি ৷’’
আরও পড়ুন : ভারত-বাংলাদেশ নদী ও নদীর জল নিয়ে মেগা বৈঠক দিল্লিতে
পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মেজর রজ্জাকের কাছে তার প্রশিক্ষণ চলেছিল বলেও জানিয়েছে হুসেন ৷ সঙ্গী জঙ্গিদের বিশ্বাসঘাতকতার জন্যই সে ভারতীয় সেনার হাতে ধরা পড়ে বলে অভিযোগ তার ৷ সেনা হাসপাতালে বসে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে তার স্বীকারোক্তি, ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপরে আক্রমণ চালানোর জন্য ৬ মাস তার প্রশিক্ষণ চলেছে এবং পাকিস্তানি সেনা পরিচালিত লশকর-এ-তৈবা ও জইশ-এ-মহম্মদের জঙ্গি শিবিরেও একাধিকবার গিয়েছে সে ৷
আরও পড়ুন : দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার পার, মৃত্যু ৩৬
রজৌরির সেনা হাসাপাতালের কম্যান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার রাজীব নাইয়ার জানিয়েছেন, হুসেনের অবস্থা স্থিতিশীল ৷ তাকে রক্ত দেওয়া হয়েছে ৷ খাওয়ানোও হয়েছে ৷ ধরা পড়ার সময় হুসেন চিৎকার করে বলেছিল, ‘‘ আমি মরার জন্য এসেছিলাম ৷ কিন্তু আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে ৷ ভাই, আমাকে এখান থেকে বার করো ৷’’ সেনাবাহিনীর আধিকারিকদের সূত্রে জানা গিয়েছে হুসেনের গোপনাঙ্গ কেশমুক্ত করা হয়েছিল ৷ অতীতেও আত্মঘাতী হামলায় আসা জঙ্গিদের মধ্যে এই রীতি দেখা গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে ৷
প্রসঙ্গত হুসেন আরও জানিয়েছে ২০১৬ সালে এই একই সেক্টর থেকে সীমা লঙ্ঘন করে অনুপ্রবেশের দায়ে সে ধরা পড়েছিল তার ভাই হারুণ আলির সঙ্গে ৷ কিন্তু পরবর্তীতে ২০১৭-র নভেম্বরে মানবতার খাতিরে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয় ৷
