আর এখানেই প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। তাঁদের প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রীর নামেই পিএম কেয়ারর্স ফান্ডের তহবিল তৈরি। একাধারে তিনি যেমন এই তহবিলের চেয়ারম্যান, তেমনই তহবিলের ঠিকানা হিসেবেও উল্লেখ রয়েছে সাউথ ব্লকে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, অর্থমন্ত্রীও এই তহবিলের এক-একজন অছি পরিষদ সদস্য। শুধু তাই নয়, পিএম কেয়ারর্স ফান্ডের যে ওয়েবসাইট, তাতে একাধারে যেমন রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি, তেমনই জাতীয় প্রতীক অশোক স্তম্ভও রয়েছে। এমনকী পিএম কেয়ারর্স ফান্ডে অর্থ সাহায্যের আবেদন করে সরকারি খরচে বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়েছে। সরকারের একাধিক মন্ত্রক, সরকারী কর্মীদের বেতন কেটেও এই ফান্ডে টাকা জমা করা হয়েছে। অথচ আজ দাবি করা হচ্ছে, পিএম কেয়ারর্স ফান্ড রাষ্ট্রের সম্পত্তি নয়! স্বাভাবিক কারণেই সুর চড়াতে শুরু করেছে বিরোধীরা।
advertisement
কংগ্রেস-সহ বিরোধী শিবির একজোট হয়ে প্রশ্ন তুলছে, এখন বলা হচ্ছে, পিএম কেয়ারর্স ফান্ডের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কোনও সম্পর্ক নেই। তাহলে একটা বেসরকারি তহবিলে চাঁদা জোগাড়ের জন্য নিজের পদ কেন ব্যবহার করলেন নরেন্দ্র মোদি? তবে, দিল্লি হাইকোর্টে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় সংস্থা ক্যাগ নির্ধারিত হিসেব পরীক্ষক এই তহবিল অডিট করবেন। তাতে অবশ্য বিতর্ক থেমে থাকছে না।