কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধিকে ব্যক্তিগত আক্রমণ । কিন্তু তা যে ভালো ডিভিডেন্ট দেবে না তা বুঝতে পারছে বিজেপি । দ্বিতীয় দফার প্রচারে কংগ্রেসকে বিঁধতে কৌশলই বদলে ফেললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । এককথায় কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার কৌশলই নিলেন তিনি । কৃষক দুর্দশা, যুবকদের কর্মসংস্থান, মহিলাদের উন্নয়নকে হাতিয়ার করে গোটা ইতিমধ্যেই তাঁর সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন বিরোধীরা । কর্নাটকে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতায় বিরোধীদের অস্ত্রকেই হাতিয়ার করলেন প্রধানমন্ত্রী । এদিন মল্লিকার্জুন খাড়গের মুখ্যমন্ত্রিত্ব প্রসঙ্গ তুলে কংগ্রেসকে দলিত-বিরোধী হিসেবে অভিযুক্ত করছেন মোদি ।
advertisement
মোদি এদিন দাবি করেন, সিদ্দারামাইয়ার জমানায় অবহেলিত রাজ্যের মানুষের আকাঙ্খা । তাঁর অভিযোগ, দুর্নীতিতে আদ্যপান্ত ডুবে রাজ্যের কংগ্রেস সরকার। ঘুষ না দিলে কর্নাটকের মানুষ সরকারি পরিষেবা পান না । সেইসঙ্গে কর্নাটক-অস্মিতা উস্কে দিতে খেলেছেন জাতীয়তাবাদের তাস।
১৯৪৮ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় কৃষ্ণ মেনন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ছিলেন না। সে সময় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ছিলেন বলদেব সিং। মেনন মন্ত্রিসভায় যোগ দেন উনিশশো ছাপ্পান্ন সালে। পরের বছর প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হন। এই প্রসঙ্গেই এদিন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তথ্য বিকৃতির অভিযোগ উঠেছে। এদিন কলবুর্গি, বেল্লারি এবং বেঙ্গালুরুতে তিনটি সভা করেন প্রধানমন্ত্রী। বেল্লারি থেকেই বিজেপি প্রার্থী খনি কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত রেড্ডিভাইরা। সকালেই রেড্ডিদের দুর্নীতি নিয়ে টুইটে খোঁচা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া। কিন্তু কংগ্রেসের দুর্নীতি নিয়ে সরব হলেও এদিন রেড্ডিভাইদের প্রসঙ্গে টুঁ শব্দটি করেননি প্রধানমন্ত্রী।