বৃহস্পতিবার বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে বারাণসী সংস্কৃতি মহোৎসবের সভাকেই বিরোধীদের জবাব দেওয়ার মঞ্চ হিসাবে ব্যবহার করলেন নরেন্দ্র মোদি ৷ ভারতীয় অর্থনীতিতে নগদের ব্যবহার কমিয়ে ডিজিট্যাল লেনদেনের উদ্যোগকে কটাক্ষ করেছিলেন পূর্বতন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ৷ এদিন তাঁর পাল্টা হিসেবে মোদি প্রশ্ন তোলেন, ‘১৯৭০-৭২ থেকে দেশের অর্থব্যবস্থার স্তম্ভ ছিলেন মনমোহন সিং ৷ তিনিও দেশে প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন! বলছেন, যে দেশে প্রযুক্তিতে পিছিয়ে, সেদেশে ক্যাশলেশ অর্থনীতি কিভাবে সম্ভব? এর দায় কার মনমোহনজি? কার রিপোর্ট কার্ড দিচ্ছেন মনমোহন সিংজি? নিজের না দেশের এটা বোধগম্য হয়নি ৷’
advertisement
শুধু মনমোহন নয়, পূর্বতন অর্থমন্ত্রীকেও বিঁধতে ছাড়েননি মোদি ৷ কিছুদিন আগে UPA জমানার অর্থমন্ত্রী চিদাম্বরম প্রশ্ন তুলেছিলেন, দরিদ্র দেশের পক্ষে ক্যাশলেস অর্থনীতি কীভাবে সম্ভব! প্রযুক্তির বিকাশ নিয়ে চিদম্বরমের কটাক্ষ ফিরিয়ে দিয়ে মোদির পাল্টা প্রশ্ন,‘দেশের অর্থমন্ত্রী ছিলেন পি চিদম্বরম ৷ চিদম্বরম বলছেন দেশের অর্ধেক এলাকায় বিদ্যুৎ নেই ৷ তাহলে এদেশে প্রযুক্তির বিকাশ হবে কিভাবে? চিদম্বরমজি আমি তো এসে একটাও বিদ্যুতের খুঁটি তুলিনি! এর দায় কে নেবে, চিদম্বরমজি?’
নোট বাতিলের ঘোষণার পর থেকেই সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছে রাহুল সহ প্রায় পুরো কংগ্রেস দল ৷ বুধবারই নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে কংগ্রেস সহ সভাপতি মোদির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনেন ৷ ২০১৩-র অক্টোবর থেকে ২০১৪-র ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সাহারা গোষ্ঠীর থেকে ন'বারে মোট চল্লিশ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ২৫ কোটি টাকার ঘুষ নিয়েছেন বিড়লা গোষ্ঠীর থেকেও।
বোমা তো ফাটালেন। কিন্তু ঘায়েল হল না প্রতিপক্ষ। রাহুল গান্ধির দুর্নীতি ভূমিকম্পে এতটুকুও কাঁপল না গেরুয়া শিবির। উল্টে ঝুলি থেকে পুরনো তাস বের করেই ঘায়েল করলেন কংগ্রেসকে।