সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, চলতি মাসেই অর্থাৎ সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে আমেরিকা যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Narendra Modi)। আর এমনটা হলে করোনা আবহে এবং মার্কিন মসনদে জো বাইডেন বসার পর এটাই হবে তাঁর প্রথম আমেরিকা সফর। জানা গিয়েছে, সব ঠিক থাকলে সেপ্টেম্বরের ২৩ বা ২৪ তারিখে আমেরিকা যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
advertisement
আরও পড়ুন : তালিবানকে পঞ্জশির দিলে সেটাই অন্তিম দিন হবে, দখলদারির গুজব উড়িয়ে মাসুদের গর্জন
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য ভারত। আগস্ট মাসে পরিষদের সভাপতি পদে ছিল দেশ। সেই সময় আফগানিস্তান নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রস্তাব পাশ করা হয়ে নিরাপত্তা পরিষদে। এহেন পরিস্থিতিতে এবারে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় আলোচনার মূল বিষয় যে আফগানিস্তানে তালিবানি শাসন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। জানা গিয়েছে ওয়াশিংটন থেকে নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার অধিবেশনে শামিল হওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
সূত্রের খবর, আমেরিকা সফরকালে বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা চালাবেন মোদি। সেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হবে আফগানিস্তান ও তালিবানের উত্থান। একইসঙ্গে কোয়াড গোষ্ঠী নিয়েও আলোচনা হতে পারে দুই রাষ্ট্রনায়কের। আফগানিস্তানে চিন, পাকিস্তান ও রাশিয়ার প্রভাব বাড়ায় আমেরিকাও কোয়াড নিয়ে যথেষ্ট তৎপর। চতুর্দেশীয় অক্ষ বা কোয়াডের সদস্যরা হচ্ছে–আমেরিকা, ভারত, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া। মূলত, চিনকে ঘরে ফেলতেই এই অক্ষ। আলোচনায় অবশ্যই উঠে আসবে চিন প্রসঙ্গও। এমনটাই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
ইতিমধ্যেই জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে বিবৃতি দিয়ে ভারতের জন্য বিপদ ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছে তালিবান। কাশ্মীরি মুসলিমদের হয়ে ‘কথা বলবে’ বলে জানিয়েছে জেহাদি দলটি। শুক্রবার তালিবানের মুখপাত্র সুহেল শাহিন কাতারের অফিসে একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছে, কাশ্মীরের (Kashmir) মুসলিমদের সঙ্গে স্বপক্ষে কথা বলা তাদের অধিকারের পক্ষে। শুধু ভারত নয়, বিভিন্ন দেশের মুসলিমদের সঙ্গেও তারা এভাবে কথা বলতে পারে। আসলে, মুসলিমদের নিজেদের দলে টানতেই তালিবানের এই ভাবনা বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিষয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। পাকিস্তানই যে তালিবানের লালনপালন করেছে সেকথা কার্যত স্পষ্ট করে দিয়েছেন শ্রিংলা।