প্রসঙ্গত, অগাস্ট মাসে স্বাধীনতা পেয়েছিল ইউক্রেন। সেই উপলক্ষ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশের একাধিক সংবাদমাধ্যম। তবে বিদেশ মন্ত্রক এখনও সফরের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেনি। জানা গিয়েছে, চলতি বছরের শুরুতে ফোনে মোদিকে ইউক্রেনে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি। জানা গিয়েছে, এবার সেই আমন্ত্রণই রক্ষা করবেন তিনি।
advertisement
গত কয়েক মাসে ভারত ও ইউক্রেনের মধ্যে একাধিক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। সম্প্রতি ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আন্দ্রি ইয়ারমাকের সঙ্গে আলোচনা হয় ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালেরও। এরপরই প্রধানমন্ত্রীর ইউক্রেন সফরের খবর সামনে এল।
এই প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিকাশ’’ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জুন মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইতালিতে আয়োজিত G7 শীর্ষ সম্মেলনে জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সেখানে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছিল। মোদি সংঘাত থামাতে শান্তিপূর্ণ সমাধানের উপর জোর দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘‘আলোচনা এবং কূটনীতির মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করতে হবে।’’ যুদ্ধ শুরুর পর এটা ছিল মোদি ও জেলেনস্কির দ্বিতীয় ব্যক্তিগত সাক্ষাৎ। তার আগে জাপানে গত বছরের G7 শীর্ষ সম্মেলনে মুখোমুখি হয়েছিলেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান।
চলতি মাসের শুরুতে মস্কো সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। দুই দেশের স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ নিয়ে আলোচনা হয়। মোদির সফরের সময়ই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের একটি শিশু হাসপাতালে মিসাইল হামলা চালায় রাশিয়ান সেনা। শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। ঘটনায় মর্মাহত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পুতিনকে বলেছিলেন, ‘‘নিষ্পাপ শিশুদের মৃত্যু বেদনাদায়ক এবং ভয়ঙ্কর।’’