সফরের প্রথম দিন জামনগরে প্রধানমন্ত্রী। দ্বিতীয় দিনে গির সাফারি পার্কে সাফারিতে অংশ নেবেন এবং জাতীয় বন্যপ্রাণী বোর্ডের বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন। আর সফরের শেষ দিনে সোমনাথ মন্দিরে পুজো দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর।
advertisement
সফরসূচি অনুযায়ী, শনিবার রাত ৮টায় জামনগরে পৌছনোর কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। রাতে সেখানেই থাকবেন। রবিবার সকালে জামনগর থেকে তিনি যাবেন ‘বনতারা’। রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন পরিচালিত ‘বনতারা’ পশু পুনর্বাসন কেন্দ্র।
দু’দিন আগেই ‘জাতীয় প্রাণী মিত্র’ পুরস্কার পেয়েছে অনন্ত আম্বানির ‘বনতারা’। ৩ হাজার একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত বিশাল এলাকায় পশুদের যত্ন, পুনর্বাসন এবং চিকিৎসা করা হয়। রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের পশু চিকিৎসা, হাসপাতাল, গবেষণা ও শিক্ষা কেন্দ্র। ২৪০টিরও বেশি হাতিকে উদ্ধার করে রাখা হয়েছে এখানে। বিশ্বমানের পশু স্বাস্থ্যসেবা ও পুনর্বাসনের কারণে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও পেয়েছে ‘বনতারা’।
এরপর প্রধানমন্ত্রী মোদি যাবেন জুনাগড়ের সাসনে। সেখানে সোমনাথ ট্রাস্টের সভায় সভাপতিত্ব করবেন। রাতে জুনাগড়েই থাকার কথা রয়েছে তাঁর। পরদিন অর্থাৎ ৩ মার্চ মোদি যাবেন গির সাফারি পার্কে। সাফারি করবেন। গির হল এশিয়ান সিংহের একমাত্র আবাসস্থল। সকাল ৬টা থেকে সাফারি শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সাসনে এটাই মোদির প্রথম সফর। গিরের সিংহ দেখবেন সাফারিতে। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি গিরকে বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন। সাফারির পর সকাল ১০টায় তিনি সাসনের ‘সিংহ সদন’-এ জাতীয় বন্যপ্রাণী বোর্ডের বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন।
এই বোর্ডে মোট ৪৭ জন সদস্য রয়েছেন। যাঁদের মধ্যে সেনাপ্রধান, বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিনিধি, এনজিও ও বন বিভাগের কর্মকর্তারা থাকবেন। এরপর দুপুর ১২টায় প্রধানমন্ত্রী সোমনাথ মন্দিরে পুজো দিতে যাবেন। দর্শন শেষে, তিনি বিকেল ৩টেয় রাজকোট থেকে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন।
প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে গুজরাত জুড়ে সাজোসাজো রব। এসপিজি দল ইতিমধ্যেই জামনগরে পৌঁছে গিয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। বিমানবন্দর থেকে সার্কিট হাউজ পর্যন্ত নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে প্রস্তুতি চূড়ান্ত।