পরবর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রী পুরাতচি থালাইভার ড. এম. জি. রামাচন্দ্রান চেন্নাই সেন্ট্রাল-কোয়েম্বাটোর জংশনের মধ্যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের আরও একটি পরিষেবার সূচনা করেন। চেন্নাইয়ের এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল শ্রী আর. এন. রবি, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী শ্রী এম. কে. স্টালিন ও কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
আরও পড়ুন: পয়লা বৈশাখের আগেই চরম গরম রাজ্যে, কলকাতায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা! আবহাওয়ার আপডেটে চামড়ায় 'জ্বালাতঙ্ক'
advertisement
সেকেন্দ্রাবাদের জনসমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী তেলেঙ্গানা রাজ্যের উন্নয়নের গতি সম্প্রসারণের সুযোগ লাভের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। দিনের শুরুতে তিনি পতাকা নাড়িয়ে সেকেন্দ্রাবাদ রেলওয়ে স্টেশনে সেকেন্দ্রাবাদ-তিরুপতি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের শুভ সূচনা করেন, যা আইটি শহর হায়দরাবাদের সাথে ভগবান ভেঙ্কেটশ্বরের বাসস্থান তিরুপতিকে সংযুক্ত করবে। মোদি বলেন, “সেকেন্দ্রাবাদ-তিরুপতি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসটি ধর্মবিশ্বাস, আধুনিকতা, প্রযুক্তি ও পর্যটনকে সফলভাবে
সংযুক্ত করবে।” প্রধানমন্ত্রী রেলওয়ে, সড়ক সংযোগ ও স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়ন সম্পর্কিত ১১,৩০০ কোটিরও অধিক মূল্যের প্রকল্পগুলির জন্য তেলেঙ্গানার নাগরিকদের অভিনন্দন জানান।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতমুখী বাংলায় বিজেপির পারফরম্যান্সে বেজায় ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, হল বিরাট ঘোষণা!
সেকেন্দ্রাবাদের এই অনুষ্ঠানে অন্যদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তেলেঙ্গানার রাজ্যপাল ড. তামিলিসাই সৌন্দররাজন, কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রী শ্রী জি কিষান রেড্ডি, মালকাজগিরি থেকে সাংসদ শ্রী এ রেবন্ত রেড্ডি ও তেলেঙ্গানা সরকারের মন্ত্রীবর্গ। ৭২০ কোটি টাকা ব্যয় ধার্য করা সেকেন্দ্রাবাদ রেলওয়ে স্টেশনে পুনঃউন্নয়নের পরিকল্পনা এমন ভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে যাতে বিশ্বমানের সুযোগ-সুবিধা ও সৌন্দর্যপূর্ণ ডিজাইনের আইকনিক স্টেশন বিল্ডিং থাকার পাশাপাশি বিরাট পরিবর্তন ঘটানো হবে।
পুনঃউন্নয়নের পর স্টেশনটিতে একই স্থানে সমস্ত ধরনের যাত্রী সুবিধার পাশাপাশি দ্বি-স্তরের প্রশস্ত রুফ প্লাজা এবং রেল থেকে অন্যান্য পদ্ধতিতে বাধাহীনভাবে যাত্রীদের স্থানান্তর করার জন্য মাল্টিমোডাল সংযোগ ব্যবস্থা থাকবে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী হায়দরাবাদ-সেকেন্দ্রাবাদ টুইন সিটি অঞ্চলের শহরতলির অংশে ১৩টি নতুন মাল্টি-মোডাল ট্র্যান্সপোর্ট সার্ভিস (এমএমটিএস) পরিষেবার সূচনা করেন, যা যাত্রীদের ত্রুত, সুবিধাজনকভাবে এবং আরামদায়কভাবে ভ্রমণ বিকল্প প্রদান করবে। এছাড়াও তিনি সেকেন্দ্রাবাদ-মেহবুবনগর প্রকল্পের দ্বৈতকরণ ও বৈদ্যুতিকীকরণকে দেশের প্রতি উৎসর্গ করেন। প্রায় ১,৪১০ কোটি টাকা ব্যয়ে সম্পূর্ণ করা এই প্রকল্পটি ৮৫ কিলোমিটারেরও অধিক দূরত্ব পর্যন্ত প্রসারিত। এই প্রকল্পটি বাধাহীন সংযোগ প্রদান করবে এবং ট্রেনের গড় গতি বৃদ্ধি করবে।
প্রধানমন্ত্রী হায়দরাবাদের বিবিনগর এইমস-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এছাড়াও তিনি ৭,৮৫০ কোটি টাকারও অধিক মূল্যের একাধিক জাতীয় সড়ক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন, যা তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশ উভয় রাজ্যের সড়ক সংযোগ শক্তিশালী করবে এবং অঞ্চলটির আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও সহায়ক হবে।
আবীর ঘোষাল