এই পরিস্থিতিতে তাই ভারতীয় রেলের তরফ থেকে যাত্রীদের প্রতি শ্রমিক স্পেশাল নিয়ে আবেদন করা হয়েছে। রেল মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে যাত্রীদের প্রতি আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রবাসী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানো সুনিশ্চিত করতে ভারতীয় রেল প্রতিদিন দেশজুড়ে বেশকিছু শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন চালাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, কোভিড-১৯ মহামারীর প্রকোপে স্বাস্থ্য খারাপ হওয়ার ঝুঁকি সম্বলিত পূর্ব-বিদ্যমান উপসর্গ নিয়ে কিছু মানুষ শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে সফর করছেন। এররকম পূর্ব-বিদ্যমান উপসর্গ নিয়ে যাত্রার সময়ে কিছু দূর্ভাগ্যজনক মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।
advertisement
এরকম কিছু যাত্রীর সুরক্ষার জন্য রেল মন্ত্রণালয়, গৃহ মন্ত্রণালয়ের আদেশ সংখ্যা 40-3/2020-DM-I(A) dt 17/5/2020 অনুযায়ী আবেদন জানাচ্ছে যে, পূর্বে বিদ্যমান রোগ (যেমন, উচ্চ রক্তচাপ, মধুমেহ, হৃদরোগ, কর্কটরোগ, কম প্রতিরক্ষা) সম্পন্ন ব্যক্তি, গর্ভবতী মহিলা, ১০ বছরের কম বয়সের শিশু এবং ৬৫ বছরের বেশি বয়স্ক বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি অত্যন্ত প্রয়োজন না থাকলে ট্রেন যাত্রা এড়িয়ে চলুন। ভারতীয় রেল পরিবার দেশের নাগরিকদের নির্বাধ রেল যাত্রার প্রয়োজন পূর্ণ করতে চব্বিশ ঘণ্টা সাত দিন অক্লান্তভাবে কাজ করে চলেছে। কিন্তু আমাদের যাত্রীদের সুরক্ষাই আমাদের সবচেয়ে বড় প্রাথমিকতা আর এর জন্য সমস্ত যাত্রীদের সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য। যে কোনও রকম আকস্মিকতা এবং জরুরী প্রয়োজনে অনুগ্রহ করে আমাদের রেল পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে ইতস্তত করবেন না।
ভারতীয় রেল আপনাদের সেবার জন্য সবসময় নিযুক্ত আছে ( হেল্পলাইন নম্বর 139 এবং 138) রেলের এই আবেদনের প্রেক্ষিতে কিছু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যেমন ভারতীয় রেল প্রথমে এই ধরণের মৃত্যুর খবর অস্বীকার করছিল। শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে জল ও খাবারের অভাব কেন হচ্ছে? যদিও অভাব মানতে রাজি নয় রেল। কেন গাদাগাদি করে শ্রমিকদের এভাবে ফিরতে হচ্ছে। সামাজিক দুরত্ব কেন বজায় রাখা হচ্ছে না। দেশজোড়া এই বিতর্ক মাঝে রেলের এই আবেদন আদৌ কতটা গ্রহণযোগ্য তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। গতকাল, বৃহস্পতিবার রাতের হিসেব অনুযায়ী ২৫৫ শ্রমিক স্পেশাল তাদের গন্তব্যে পৌঁছে গিয়েছে।
আবীর ঘোষাল