আরও পড়ুন : ১১ বার করোনার টিকা পেলেন বিহারের বাসিন্দা, বলছেন, 'ভাল লাগে টিকা নিতে'
ভাল্লুকের আঘাতে ধরমেশ রাঠওয়ার মুখের খুবই খারাপ অবস্থা হয়। তাঁর নাক, ঠোট, চোখের নীচের অংশ, গাল ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। এছাড়াও তাঁর মুখের বিভিন্ন অংশের হাড় ভেঙে যায় এবং মাংসপেশিতে ক্ষত তৈরি হয়। এসএসজি হাসপাতালের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ও প্লাস্টিক সার্জারি ডিপার্টমেন্টের হেড ডাক্তার শৈলেশ কুমার সোনি (Dr Shailesh Kumar Soni) জানিয়েছেন যে, ‘‘যখন ধরমেশ রাঠওয়াকে তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, তখন ধুলো, বালি, পাথর, পাতায় তাঁর মুখ পুরো ভর্তি ছিল। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে র্যাবিস, টিটেনাস এবং অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। এর পর তাঁর সিটি স্ক্যান করা হয়। সিটি স্ক্যান করার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তাঁর মুখে সার্জারি করতে হবে।’’ সার্জারি করার জন্য ডাক্তার শৈলেশ কুমার সোনির সঙ্গে সেই দলে ছিলেন ডাক্তার ভাগ্যশ্রী দেশমাঙ্কার (Dr Bhagyashree Deshmankar), ডাক্তার নলিন প্রজাপতি (Dr Nalin Prajapati), ডাক্তার সুদর্শন যাদব (Dr Sudarshan Yadav), ডাক্তার ঋদ্ধি সোমপুরা (Dr Riddhi Sompura)।
advertisement
আরও পড়ুন : সুরাতে বিষাক্ত গ্যাসে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু ৬ শ্রমিকের, অসুস্থ আরও ২৫
ভাল্লুকের আঘাতে ধরমেশ রাঠওয়ার নাক পুরোপুরি ভেঙে গিয়েছিল। তাঁর নাক সারিয়ে তোলার জন্য পুরো সার্জারির সময় তাঁকে অজ্ঞান করে রাখা জরুরি ছিল। এত সময় ধরে তাঁকে অজ্ঞান করে রাখার জন্য অ্যানাস্থেশিয়ার সাহায্য নেওয়া হয়। এই কাজের জন্য সাহায্য করে ডাক্তারদের একটি অন্য দল। সেই দলে ছিলেন ডাক্তার কবিতা লালচন্দানি (Dr Kavita Lalchandani), ডাক্তার নেহা শাহ (Dr Neha Shah), ডাক্তার রিমা গোমেতি (Dr Rima Gometi)। ডাক্তার শৈলেশ কুমার সোনির নেতৃত্বে তাঁর দল অন্যান্য ডাক্তারের সাহায্যে প্রায় ৪ ঘণ্টার সার্জারি করে রাঠওয়ার মুখে প্রায় ৩০০টি সেলাই দিয়ে ঠিক করে তোলেন তাঁকে।