ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, BJ মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রাবাসে ধাক্কা মারার সঙ্গে সঙ্গেই আগুন ধরে যায়। বিমানের ধাক্কায় ছাত্রাবাসের মেসের দিকটা চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। পাশের বিল্ডিংয়ে থাকা বহু মেডিক্যাল ছাত্র সেই মুহূর্তে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দ্বিতীয় তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে কোনোমতে প্রাণ বাঁচান। চারিদিকে কালো ধোঁয়ার আস্তরণ। আতঙ্কিত ছাত্রদের আর্তচিৎকারে গগনবিদারী পরিবেশ তৈরি হয়।
advertisement
ভিডিওতে আরও দেখা যাচ্ছে, কেউ কেউ নিচে দাঁড়িয়ে উপরের ছাত্রদের ঝাঁপ দিতে নিষেধ করছেন। বলছেন, “না, পড়ে যাবে!” তবুও অনেকে একে অপরের হাত ধরে সাহস করে লাফিয়ে পড়েন নিচে। দুর্ঘটনার মুহূর্তে হোস্টেলের পাশের দেওয়াল টপকে অনেকে ভিতরে ঢুকে আহতদের উদ্ধারে এগিয়ে আসেন।
আরও পড়ুন: ঘুরতে গিয়েছিলেন ২৩ জন পর্যটক, পাহাড় থেকে নিচে পড়ে যায় ট্র্যাভেলার! ২ জনের মৃত্যু
এই দুর্ঘটনায় শুধু বিমানেই মৃত্যু হয় ২৪১ জন যাত্রীর। এর পাশাপাশি হোস্টেলে থাকা বেশ কয়েকজন চিকিৎসক-ছাত্রও গুরুতরভাবে আহত হন। এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭৪-তে। মৃতদের শনাক্ত করতে চলছে ডিএনএ টেস্ট। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত ১৩৪টি মৃতদেহের ডিএনএ মেলে গেছে এবং সেগুলি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
এই মর্মান্তিক ঘটনা সারা দেশে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, এত বড় দুর্ঘটনা এড়ানো যেত কি না! তদন্তে নামছে এয়ারক্র্যাফ্ট অ্যাকসিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (AAIB)।