আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনার যে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো বা এএআইবি জমা দিয়েছে, তাতে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে বিমানের দুটি ইঞ্জিনে জ্বালানি যাওয়ার সুইচ বন্ধ করে দেওয়ার কথাই বলা হয়েছে৷ মাত্র এক সেকেন্ডের ব্যবধানে দুটি সুইচই বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে তদন্ত রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে৷ দুই পাইলটের মধ্যে রেকর্ড হওয়া কথোপকথনেও সেই ইঙ্গিতই মিলেছে৷ বিমানের এক পাইলটকে দ্বিতীয়জনকে প্রশ্ন করতে শোনা যায়, তুমি কেন ইঞ্জিনে জ্বালানি যাওয়া বন্ধ করলে৷ জবাবে দ্বিতীয় পাইলট বলেন, আমি কিছু করিনি৷ জ্বালানি না পাওয়ার কারণেই বিমানের ইঞ্জিনদুটি শক্তি হারায় এবং তার জেরেই বিমানটি দ্রুত নীচের দিকে নামতে শুরু করে বলেও তদন্ত রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে৷
advertisement
বিমানচালকদের সংগঠনের পক্ষ থেকে সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে লেখা চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে, যে তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে আধিকারিক পদমর্যাদার কারও সই নেই৷ আরও অভিযোগ, অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে৷ যার ফলে তদন্তের স্বচ্ছতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে৷ শুধু তাই নয়, দাবি জানানো সত্ত্বেও এখনও এই তদন্তকারী দলে কোনও কর্মরত কোনও পাইলট এবং পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বিশেষজ্ঞকেও রাখা হয়নি বলে অভিযোগ করেছে এপিএআই৷
গত ১০ জুলাই ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এর একটি রিপোর্টেও বিমানের ইঞ্জিনে জ্বালানি সরবরাহকারী সুইচের ভুল ব্যবহারের দিকেই দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে ইঙ্গিত করা হয়েছিল৷ এত গোপনীয় একটি তদন্ত রিপোর্টের তথ্য কীভাবে আগাম কোনও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের হাতে চলে গেল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে পাইলটদের সংগঠন৷
পাইলটদের সংগঠনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, তদন্ত যেভাবে এগোচ্ছে তাতে পাইলটদের উপরেই দুর্ঘটনার দায় চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা স্পষ্ট হচ্ছে৷ তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই এভাবে আগেভাগে পাইলটদের ভূমিকার দিকে আঙুল তোলার তীব্র বিরোধিতা করেছে বিমানচালকদের সংগঠন৷ যে জ্বালানি নিয়ন্ত্রণকারী সুইচ নিয়ে এত বিতর্ক, উড়ানের আগে সেগুলির যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ হয়েছিল কি না এবং সেগুলি ঠিকঠাক কাজ করছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখার দাবি জানানো হয়েছে৷