নরেন্দ্র মোদির এই আবেদনকে বহু মানুষ যেমন স্বতঃস্ফূর্তভাবে সমর্থন জানিয়েছেন, সেরকমই অনেকে এর কোনও যৌক্তকতা খুঁজে পাননি৷ কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কেন হঠাৎ আলো নিভিয়ে দিয়ে মোমবাতি বা প্রদীপ জ্বালানোর বার্তা দিলেন, তার নানারকম কল্পনাপ্রসূত ব্যাখ্যা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ যে সমস্ত ব্যাখ্যার কোনও বাস্তবতা বা বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই৷ একসময়ে তা এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো-র তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয় শুক্রবার সন্ধ্যায়৷
advertisement
সেই বিবৃতিতে স্পষ্ট জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর আবেদনের ব্যাখ্যা দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে সমস্ত গুজব এবং অপব্যাখ্যা চলছে, তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন৷ এই সমস্ত মেসেজে বিশ্বাস না করার জন্য সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন জানানো হয়৷ পাশাপাশি পিআইবি-র টুইটারে স্পষ্ট লেখা হয়, করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়াইয়ের জন্য আত্মবিশ্বাস জোগাতে এবং পাশে থাকার বার্তা দিতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ একই সঙ্গে যে প্রধানমন্ত্রীর আবেদনের অপব্যাখ্যা করে যে ভুয়ো মেসেজগুলি ছড়িয়ে পড়েছিল, তার কিছু স্ক্রিনশটও দিয়েছে পিআইবি৷
শুক্রবার সকালে ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রীর এই আবেদনের পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তার বিভিন্ন রকমের ব্যাখ্যা শুরু হয়৷ দ্রুত সেই মেসেজগুলি ফরওয়ার্ড হতে শুরু করে৷ তার মধ্যে অনেক মেসেজে দাবি করা হচ্ছিল যে, তাপমাত্রা বেড়ে গেল করোনা জীবাণু ধ্বংস হয়ে যায়৷ তাই একসঙ্গে অনেক মোমবাতি এবং প্রদীপ জ্বালিয়ে চারপাশের তাপমাত্রা বাড়িয়ে করোনা জীবাণু ধ্বংস করার জন্য এমন আবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী৷ অনেকে আবার এর সঙ্গে রাহু-কেতুর এবং নক্ষত্রের অবস্থানের যোগ খুঁজে পেয়েছিলেন৷ কিন্তু এর সবই যে মনগড়া মত এবং ভুয়ো ব্যাখ্যা, তা জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার৷