আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশ ছেড়ে বাইরে গেছেন যারা তাঁদের ডেকে চাকরি দেবে বিএসপি: মায়াবতীর প্রতিশ্রুতি
প্রশ্ন তুলেছেন ওই মহিলা। তাঁর কথায়, “আমার ভাইকে নির্মমভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। শুধুমাত্র এই কারণে যে আমি আমার হিজাবের (Hijab Case) পক্ষে দাঁড়িয়েছি, যা আমার অধিকার। আমাদের সম্পত্তিও নষ্ট হয়েছে। কেন? আমি কি আমার অধিকার চাইতে পারি না? এর পরের শিকার কে হবে? আমি এর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।"
advertisement
আরও পড়ুন: আনিসের বাবার সঙ্গে কথা বললেন SIT তদন্তকারীরা, CBI তদন্তের দাবি পরিবারের
শিফা জানিয়েছেন, তাঁর ২০ বছরের ভাই সাইফ উদুপির হাইটেক হাসপাতালে ভর্তি। প্রধান বিচারপতি রিতু রাজ অবস্থি, বিচারপতি জে এম খাজি এবং বিচারপতি কৃষ্ণ এস দীক্ষিতের সমন্বয়ে গঠিত কর্ণাটক হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এই মামলার শুনানি করছে।
কর্ণাটকের (Karnataka)একটি সরকারি কলেজের তরফে জানানো হয়েছিল হিজাব পরে কলেজে আসা যাবে না৷ নিজেদের সাংবিধানিক অধিকারে হস্তক্ষেপ মেনে নেয়নি তারা৷ প্রতিবাদ(Hijab Row) জানিয়েছে সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে৷
যারা আদেশ অমান্য করে তাদের ক্লাসে ‘হিজাব’ পরে উপস্থিত হয়েছিল, মঙ্গলবার তাদের নিজ নিজ শ্রেণিকক্ষের বাইরে পাঠানো হয়। শুধু তাই নয়,অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কলেজ প্রাঙ্গণে গণমাধ্যমের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। ইউনিফর্মের সঙ্গে হিজাবের অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি প্রতিবেদন জমা না দেওয়া পর্যন্ত কলেজ এই সিদ্ধান্তেই অটুট থাকবে জানিয়েছে।
১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব হিজাব দিবস হিসাবে পালন করা হয়। প্রতিবাদী (Hijab Row) ছাত্রীদের একজন, আলিয়া আসাদি, তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বলেছেন, “মেয়েরা হিজাব (Hijab Row) পরে কলেজে আসবে৷ এটা তাঁদের ধর্মীয় ও সাংবিধানিক অধিকার। আমরা সরকারকে যে করের টাকা দি, তাতে কলেজটি পরিচালিত হচ্ছে। কারও হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই। আমাদের ন্যায়বিচারপূর্ণ লড়াইকে হুমকি দিয়ে সরানো যাবে না।" সংবিধানের ১৪ ও ২৫ নম্বর ধারার উল্লেখও করেছেন তিনি৷