সুপ্রিম কোর্টের তরফেও এদিন সরকারি কৌসুলি তুষার মেহতাকে স্পষ্ট বলা হয়, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে এমন কোনও তথ্যই তাদের থেকে চাওয়া হচ্ছে না তুষার মেহতার মত ছিল, এই ধরনের সফটওয়্যার সরকার কিনেছে কিনা কেনেনি সে বিষয়ে প্রকাশ্যে তথ্য দিলে জাতীয় সুরক্ষা এই প্রশ্নের মুখে পড়বে। এর থেকে সুবিধা নিতে পারে জঙ্গী সংগঠন গুলিও। কিন্তু প্রস্তাবিত টেকনিক্যাল কমিটির সামনে তথ্য তুলে ধরতে কেন্দ্রের কোনও আপত্তি নেই এমনটাই জানান তুষার মেহেতা।
advertisement
উল্লেখ্য গতকাল সোমবারই প্রধান বিচারপতি এনভি রমণ সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতাকে বলেন, এই মামলার দুটি দিক রয়েছে। এক, সরকার পেগাসাস ব্যবহার করেছে কিনা। দুই, যে কমিটি গঠন করা হবে, তাদের তদন্তের এক্তিয়ার কত দূর। সোমবারের শুনানিতে আদালতকে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার নেতা জানান, একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ে পেগাসাস বিতর্কে তদন্ত করতে রাজি কেন্দ্রীয় সরকার। সে ক্ষেত্রে ওই কমিটি যাবতীয় অভিযোগ খতিয়ে দেখবে। এর পরেই কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে একগুচ্ছ প্রশ্ন করেন প্রধান বিচারপতি এন ভি রমন। সলিসিটর জেনারেলের উদ্দেশে তিনি বলেন, "আপনারা যা বলছেন তা হলফনামা দিয়ে জানাচ্ছেন না কেন? মামলাকারীরা জানতে চান সরকার পেগাসাস ব্যবহার করেছিল কিনা। যদি তা না হয়ে থাকে তাহলে অন্য কেউ এই সফটওয়্যার ব্যবহার করেছে কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য সরকার কি পদক্ষেপ করেছে? পুরো বিষয়টি হলফনামা দিয়ে জানাতে অসুবিধা কোথায়? হলফনামা দাখিল করার জন্য প্রয়োজনে আপনারা সময় চাইতে পারেন। আদালত সময় দিতে রাজি আছে।"
এরপর তুষার মেহেতা জানান, পেগাসাস মামলায় খুব বেশি গভীরে প্রবেশ করলে জাতীয় সুরক্ষার উপর প্রভাব পড়বে। শুধুমাত্র হলফনামার ভিত্তিতে এই মামলার নিষ্পত্তি সম্ভব নয়।" তিনি আদালতকে জানান, "সরকার কমিটি তৈরি করতে প্রস্তুত। তবে, মামলাকারীরা প্রকৃত সত্য জানতে চান, নাকি কৃত্রিম ভাবে শোরগোল তৈরি করতে চান, সেটিও ভেবে দেখার বিষয়। কিছু মানুষ ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য সরকারের বিরুদ্ধে অহেতুক জনমত তৈরি করছে।