চাকোর কথায়, 'দিল্লিতে কংগ্রেসের পতন শুরু হয় ২০১৩ সালে, যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন শীলা দীক্ষিত৷ কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্ক পুরোটা চলে আপ-এর দিকে৷ সেই ভোট আমরা আর ফিরে পাইনি৷ এখনও তা আপ-এর দিকেই রয়েছে৷'
পিসি চাকোর এই মন্তব্যের নিন্দা শুরু হয়েছে দলেরই অন্দরে৷ মুম্বই কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি মিলিন্দ দেওরার বক্তব্য, প্রয়াত শীলা দীক্ষিতকে হারের জন্য কাঠগড়ায় দাঁড় করানো অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক৷
টানা প্রায় দু দশক দিল্লি শাসন করার পরেও এ বারের দিল্লি বিধানসভায় খাতাই খুলতে পারেনি কংগ্রেস৷ ৬৭টি আসনে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে কংগ্রেসের৷ ভোট শতাংশের হিসেবেও কংগ্রেসের অবস্থা আরও শোচনীয়৷
দিল্লি নির্বাচনের প্রচারেই বোঝা গিয়েছিল লড়াইটা মূলত হতে চলেছে আপ বনাম বিজেপি-র৷ কিন্তু কংগ্রেসও চেষ্টা করেছিল৷ মনমোহন সিং, রাহুল গান্ধি, প্রিয়াঙ্কা গান্ধি থেকে শুরু করে কংগ্রেসের তারকা নেতা-নেত্রীরা৷ কিন্তু শেষরক্ষা হল না৷ ২০১৫ সালে দিল্লিতে ভোট কংগ্রেস ১০ শতাংশ ভোট পেয়েছিল৷ ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে পেয়েছিল ২২.৫ শতাংশ৷ ২০২০ সালের বিধানসভায় তা কমে মাত্র ৪ শতাংশ৷