পবনও নিজেকে তৈরি রাখছেন সেই বিশেষ দিনের জন্য ৷ তিনি জানিয়েছেন কাউকে ফাঁসি দিতে তার কোনও অসুবিধা হয় না ৷ কিন্তু নির্ভয়ার মা আশাদেবীর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না তিনি ৷
নির্ভয়া গ্যাংরেপ কেসের দোষীরা বেঁচে আছে, ঘুরে বেড়াচ্ছে দীর্ঘ ৮ বছর ধরে এক মাকে সেই যন্ত্রণা রোজ সহ্য করতে হয়েছে ৷ সেই মায়ের সামনে দাঁড়ানোর মুখ নেই মনে করেন পবন ৷ ১৬ ডিসেম্বর ২০১২ গণধর্ষিতা হয়েছিলেন দিল্লির এই কন্যা ৷ তারপর থেকে এতবছর ধরে ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করে রয়েছে নির্ভয়ার পরিবার ৷ এই যন্ত্রণা ভোগ যিনি করেছেন তাঁদের সঙ্গে কথা বলার সাহস নেই ৷
advertisement
পবন জল্লাদ জানিয়েছেন তিনি নির্ভয়ার ধর্ষকদের ফাঁসি দেওয়ার পর আশাদেবীর সামনে যাবেন ৷ কারণ তিনি মৃত্যুদণ্ডের আদেশ পালনে কোনো ভয় পান না কিন্তু নিগৃহীতার মায়ের যন্ত্রণাক্লিষ্ট চোখ দেখতে ভয় পান ৷
আরও পড়ুন -আমেরিকার সেনা ছাউনিতে মিসাইল হানা, আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু, দেখে নিন ইরানের হানার ভিডিও
এর আগে মঙ্গলবার রায় ঘোষণা হয় ৷ নির্ভয়াকাণ্ডে ফাঁসির নির্দেশ পাতিয়ালা হাউস কোর্টের ৷ ৪ দোষীর মৃত্যু পরোয়ানা জারি করা হয়েছে ৷ ২২ জানুয়ারি ফাঁসির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ সকাল ৭টায় ফাঁসির নির্দেশ ৷
রায় ঘোষণার পর নির্ভয়ার মা জানান, ‘অবশেষে আমার মেয়ে ন্যায় পেল ৷ ৪ দোষীর ফাঁসি হল এদেশের মহিলাদের আস্থা বাড়াবে ৷ এই সিদ্ধান্তে জেরে দেশের বিচার ব্যবস্থার উপর মানুষের ভরসা বাড়বে ৷’ এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘এটা ভারতের জয়, ৭ বছর পর জয় পেলাম ৷ কোর্টের উপর আস্থা বাড়বে মহিলাদের ৷ ২২ জানুয়ারি আমার বড়দিন ৷’
আগামী ২২জানুয়ারী সকাল ৭টায় ফাঁসি দেওয়া হবে ৪দোষী পবন গুপ্তা, অক্ষয় ঠাকুর, মুকেশ সিং, বিনয় শর্মাকে। সম্প্রতি অতীতে এই প্রথমবার ৪দোষীকে একই সঙ্গে ফাঁসি দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে তিহার জেলে ফাঁসীর দড়ি আনা হয়েছে। নির্ভয়াকান্ডে ৬জন দোষীর মধ্যে একজন আত্মহত্যা করে জেলে, নাবালক দোষীর আইন অনুযায়ী শাস্তি হয় , বাকী ৪জনের বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি আদালতের। ২০১২ সালে ১৬ই জিসেম্বর রাতে দিল্লির চলন্ত বাসে ২৩ বছরের তরুনীকে গনধর্ষন করে ৬ জন।
আরও দেখুন