পতঞ্জলি ভক্তদের যুক্তি হল, 'ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি যদি কোনও রকম পরীক্ষা ছাড়াই দিনের পর দিন বাজারে বিক্রি হতে পারে, তা হলে পতঞ্জলির ক্ষেত্রে কেন প্রশ্ন উঠছে?'
বিকাশ যাবদ নামে এক ব্যক্তি টুইটারে লিখছেন, 'করোনিল তৈরি করেছেন বলে রামদেবকে দোষারোপ করা হচ্ছে৷ কিন্তু গত ২০ বছর ধরে অনেকে ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি ব্যবহার করছে ফর্সা ত্বকের জন্য৷ কিছু সেলেব্রিটি কোনও বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা ও প্রমাণ ছাড়াই এনডোর্স করছেন৷ করোনিলের ক্ষেত্রে কেন প্রমাণ দিতে হবে?'
জিতেন্দ্র সিং নামে আরেকজনের টুইট, 'কেন আয়ুষ ও ভারত সরকার ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি, লাক্স, একাধিক পাউডারকে ছাড় দিচ্ছে৷ যেখানে তা ব্যবহার করেও কেউ ফর্সা হচ্ছে না৷ যে ভাবে পতঞ্জলির করোনিলকে নিষিদ্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে, সেভাবেই এই সব পণ্যগুলিকেও নিষিদ্ধ করুক সরকার৷'
৭ দিনের মধ্যে করোনা সারিয়ে দেবে৷ এমনই দাবি করে করোনার আয়ুর্বেদিক ওষুধ লঞ্চ করেছে যোগগুরু রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ৷ এরপর থেকেই নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে ওই ওষুধ ঘিরে৷ করোনার ওষুধের বিষয়ে পতঞ্জলিকে নোটিস ধরাচ্ছে উত্তরাখণ্ডের আয়ুর্বেদ দফতর৷ তাঁরা জানাচ্ছেন, পতঞ্জলি লাইসেন্সের জন্য আবেদনপত্রে করোনা ভাইরাসের কোনও কিছু উল্লেখ করেনি৷ তাই রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির ওষুধ হিসেবেই লাইসেন্স অনুমোদন করা হয়েছিল৷
পতঞ্জলির কাছ থেকে ওই আয়ুর্বেদিক ওষুধের বিস্তারিত তথ্য ইতিমধ্যেই চেয়েছে কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রক৷ একই সঙ্গে আয়ুষ মন্ত্রক রামদেবের সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছে, যতক্ষণ না প্রয়োজনীয় সব পরীক্ষায় প্রমাণ হচ্ছে, এই ওষুধে করোনা সেরে যায়, তত দিন ওষুধটি নিয়ে কোনও রকম বিজ্ঞাপনী প্রচার করা যাবে না৷
উত্তরাখণ্ড আয়ুর্বেদ দফতরের লাইসেন্স অফিসারের কথায়, 'যখন পতঞ্জলি ওই ওষুধের জন্য লাইসন্সের আবেদন করেছিল, সেই আবেদনে করোনা ভাইরাসের কোনও উল্লেখ ছিল না৷ একটি ইমিউনিটি বুস্টার ও সর্দি-কাশির ওষুধ হিসেবেই আমরা লাইসেন্সের অনুমোদন দিয়েছিলাম৷ কার অনুমতিতে পতঞ্জলি COVID19-এর কিট তৈরি করল? আমরা সংস্থাকে নোটিস পাঠাচ্ছি৷'