আরও পড়ুন- শুধু রাস্তা দেখায় না, গুগল ম্যাপসের রয়েছে আরও ১৫টি ‘আশ্চর্য’ ব্যবহার! আপনি ক’টা জানেন?
বিতর্কের সূত্রপাত গত শুক্রবার। একটি পডকাস্টে সাক্ষাৎকারের সময় ভারতের এ বছরের লোকসভা নির্বাচন নিয়ে ভুল মন্তব্য করে বসেন মেটা প্রধান জুকারবার্গ। তাঁর মতে, কোভিড পরবর্তী সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সরকারের উপর থেকে মানুষের আস্থা সরে গিয়েছে। ২০২৪ সালে যার প্রভাব পড়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। তিনি বলেন, “২০২৪ সাল ছিল বড় বড় নির্বাচনের বছর। ভারত-সহ বিভিন্ন দেশে নির্বাচন হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই ক্ষমতাসীন দলগুলি হেরে গিয়েছে। মুদ্রাস্ফীতির জন্যই হোক বা করোনা মোকাবিলায় আর্থিক নীতির জন্য হোক, কিংবা করোনা মোকাবিলার পদ্ধতির কারণেই হোক— বিশ্বব্যাপী একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। বিশ্বব্যাপী এর প্রভাব পড়েছে বলে অনুমান করা যায়।”
advertisement
আরও পড়ুন- প্রজনন ক্ষমতা তলানিতে! জনসংখ্যা যে হারে কমছে, শীঘ্রই ‘বিলুপ্ত’ হতে পারে…! জানেন কোন রাজ্য?
এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে দুবের দাবি, “আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, মেটার লোকজনকে ডেকে পাঠাব। মেটার CEO, মার্ক জুকারবার্গ একটি মন্তব্য করেছেন এবং দেখিয়েছেন যে কোভিড-১৯ পরবর্তীতে সরকারবিরোধী একটি পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে তিনি ভারতের কথাও উল্লেখ করেছেন।” তিনি আরও বলেন, “মার্ক জুকারবার্গের এই মন্তব্য উদ্বেগজনক এবং তিনি দেশের গণতন্ত্রে হস্তক্ষেপ করছেন। ভুল তথ্য দিয়ে পৃথিবীকে বিভ্রান্ত করছেন যে বিজেপি-এনডিএ ক্ষমতা হারিয়েছে!”
যদিও মেটা কর্তৃপক্ষের ওই মন্তব্যে ইতিমধ্যে সমাজমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় যোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি লিখেছেন, “জুকারবার্গ দাবি করেছেন করোনা পরবর্তী সময়ে ভারতের ২০২৪ সালের নির্বাচন-সহ বেশির ভাগ দেশে ক্ষমতাসীন সরকার হেরে গিয়েছে। এটি তথ্যগত ভাবে ভুল।” মেটা কর্তার সেই ‘তত্ত্ব’ উড়িয়ে দিয়ে অশ্বিনী লেখেন, ‘‘২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি জয়ী হয়েছে। মোদি টানা তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হয়ে নজির গড়েছেন। জুকারবার্গের মতো ব্যক্তির এমন ভুল তথ্য দেওয়ার ঘটনা হতাশাজনক।’’