সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, গত ১ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে তৎকালীন চেয়ারম্যান অভিষেক মনু সিংভি সহ অন্যান্য সদস্যরা কেন্দ্র রাজ্য সম্পর্ক নিয়ে আলোচনায় রাজি হন। যদিও তারপর কমিটি পুনর্গঠন হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে আর আলোচনা করা যায়নি। অক্টোবরে নতুন কমিটির প্রথম বৈঠকে আগামী এক বছরে আলোচিত বিষয় স্থির হয়। তার কিছুদিন পর লোকসভার বুলেটিনে প্রকাশিত বিষয়বস্তুর তালিকা থেকে কেন্দ্র রাজ্য সম্পর্কের বিষয়টি বাদ দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানিয়ে কমিটির চেয়ারম্যানকে চিঠি দেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন।
advertisement
আরও পড়ুুন - IND VS BAN: হাতে জুতোর ব্রাশ নিয়ে গোটা মাঠে দৌড়ে বেড়াচ্ছিলেন, কেন এবং কে জানেন তো
যদিও চেয়ারম্যান ব্রিজলাল জানান, এর বাইরে কোনও বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে না। বুলেটিন অনুযায়ী কমিটিতে আলোচ্য বিষয়বস্তুর তালিকায় রয়েছে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, সীমান্ত সমস্যা, উত্তর পূর্ব উন্নয়ন সহ মোট ৬টি বিষয়। এগুলির বাইরে অন্য কোনও বিষয় কমিটির বৈঠকে আলোচনা হবে না বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান। তৃণমূলের দাবি, এই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনার পর কেন্দ্র রাজ্য সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হোক। তৃণমূলের দাবিতে সমর্থন জানায় বিজেডি, কংগ্রেস এবং জেডিইউ।জোড়াফুল শিবিরের বক্তব্য, অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির নেতৃত্বাধীন কমিটির বৈঠকে কেন্দ্র রাজ্য সম্পর্ক নিয়ে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনার কথা হলেও, পরে নতুন কমিটি আলোচনার বিষয়বস্তুর তালিকা থেকে কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক বাদ দিয়েছে।
এদিনের বৈঠকে কেন্দ্রীয় এজেন্সি এবং বিরোধী শাসিত রাজ্য গুলোর প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার তথা বিজেপির আচরণের তীব্র প্রতিবাদ করেন কংগ্রেসের রাজ্যসভা সংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। এই প্রথমবার নয় এর আগের বৈঠকে একই ইস্যুতে সরব হন তিনি। প্রদীপ ভট্টাচার্য এর আগের বৈঠকে বলেন কেন্দ্র এবং রাজ্যের বিভিন্ন এজেন্সি আলাদা আলাদা সরকারের এক্তিয়ারে হলেও তারা সবাই দেশের হয়ে কাজ করে। এই সমস্ত এজেন্সি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। অথচ কর্মক্ষেত্রে তাদের একে অপরের সঙ্গে সংঘাত তৈরি হচ্ছে। এই সংঘাত দূর করতে একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি বা মেকানিজম তৈরীর দাবি তোলেন প্রদীপ ভট্টাচার্য।
RAJIB CHAKRABORTY