দেশের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দেশের সংসদীয় গণতন্ত্রের কার্যক্রমের সময়সীমা এভাবে কমিয়ে দেওয়ায় সরব বিরোধী দলগুলি। তৃণমূলের তরফ থেকে স্পষ্ট দাবি করা হয়, এটা বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের পার্লামেন্ট-ফোবিয়ার নিদর্শন। এভাবেই স্বৈরতন্ত্রের পথ প্রশস্ত করছে বিজেপির সরকার, দাবি তৃণমূলের।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর অনুমতিক্রমে শীতকালীন অধিবেশনের কথা ঘোষণা করেন সংসদীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। জানানো হয় ১ ডিসেম্বর থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত শীতকালীন অধিবেশন চলবে। সাকুল্যে যার সময়সীমা ১৫ দিনের। এই ঘোষণা হওয়ার পরই তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন এই সিদ্ধান্তকে পার্লামেন্ট-ফোবিয়া বলে দাবি করেন।
advertisement
আরও পড়ুন: বিনামূল্যে অফুরান মহৌষধ, ভিটামিন ডি গায়ে মাখতে কখন রোদ পোহানোর সেরা সময় বলে দিলেন চিকিৎসক
তিনি দাবি করেন, নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর দল একটি অত্যন্ত গভীর রোগে আক্রান্ত যার নাম পার্লামেন্ট-ফোবিয়া, এক এমন রোগ যেখানে সংসদে যাওয়া যায় না। ১৫ দিনের শীতকালীন অধিবেশন ঘোষণা করা হয়েছে। এর ফলে বিজেপি এক সন্দেহজনক রেকর্ড স্থাপন করছে।
কার্যত স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নতুন ছক এভাবে অধিবেশনের সময় কমিয়ে দেওয়া, দাবি সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ের। তাঁর দাবি, সংসদের অধিবেশনের সময় কমাতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার একটি অশুভ পন্থা নিয়েছে, যাতে স্বৈরাতন্ত্রের পথ সহজে প্রশস্ত করা সম্ভব হয়।
শীতকালীন অধিবেশনের সময়সীমা কমিয়ে দেওয়ায় সরব কংগ্রেসও। কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশের দাবি, অপ্রত্যাশিতভাবে দেরিতে ও ছোট আকারে শীতকালীন অধিবেশন। মাত্র ১৫ দিনের অধিবেশন হবে।
আরও পড়ুন: বাংলায় শুরু শীতের আমেজ, ২০ ডিগ্রির নীচে নামল কলকাতার পারদ! সপ্তাহ-শেষে জাঁকিয়ে শীতের সম্ভাবনা
সেখানেই জয়রাম রমেশের প্রশ্ন, এর থেকে কী বার্তা দেওয়া হচ্ছে? স্পষ্টভাবে সরকারের কোনও ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ নেই পূরণ করার, কোনও বিল নেই পাশ করার মতো এবং কোনও বিতর্ক সংসদে আলোচনা করা হবে না। বিহার বিধানসভা ভোটের ফল বেরনোর পরে সংসদের এই অধিবেশন বসতে চলেছে। স্বাভাবিক ভাবেই রাজনৈতিক উত্তাপ থাকবে এই অধিবেশন ঘিরে।
আবীর ঘোষাল
