একদিকে সরকার যখন এই আইন (Farm Laws) প্রত্যাহারের মামলায় আলোচনা ছাড়াই এগোতে উৎসুক, উল্টোদিকে বিরোধীদের বক্তব্য সংসদে যে কোনও বিল পেশ হলে তা আলোচনার পরেই পাস করার নিয়ম। আলোচনা ছাড়া কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে নারাজ বিরোধীরা। এই নিয়েই লোকসভা (Parliament Winter Session) উত্তাল ছিল প্রথম অর্ধে।
প্রসঙ্গত, সোমবার শীতকালীন অধিবেশনের (Parliament Winter Session) প্রথম দিন, কৃষি আইন নিয়ে আলোচনার দাবিতে অধিবেশনের শুরুতেই হই-হট্টগোল শুরু করেন বিরোধীরা (Farm Laws)। বেলা বারোটা পর্যন্ত সংসদের দুই কক্ষেরই অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায়। কথা মতো সংসদে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পেশ করবেন এই অধিবেশনের শুরুতেই। সোমবারই লোকসভায় বিল প্রত্যাহারের পর তা রাজ্যসভায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রথম দিনের অধিবেশনে হাজির থাকার জন্য বিজেপি এবং প্রধান বিরোধী কংগ্রেস সাংসদদের প্রতি হুইপ জারি করা হয়েছিল। এই অধিবেশনেই আরও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিল আনতে চলেছে কেন্দ্র।
advertisement
অধিবেশন শুরুর আগে সাংবাদিকদের সামনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘সরকার যে কোনও বিষয়ে বিতর্কে রাজি। আমরা বিরোধীদের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে তৈরি। আসুন, আমরা স্পিকার ও সংসদের গড়িমা অক্ষুণ্ণ রেখে বিতর্কে যোগ দিই।’’
যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিr বক্তব্যকে নস্যাৎ করে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন ট্যুইট করে কটাক্ষ করেছেন এদিনই। তাঁর ট্যুইটে আলোচনা ছাড়াই সরকারের একের পর এক বিল পাশ নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন ডেরেক ও ব্রায়েন।
প্রসঙ্গত, অর্ডিনান্স জারি করে তিনটি কৃষি আইন আনে কেন্দ্র। শুরু থেকেই তার বিরোধিতা করেন কৃষকরা। হরিয়ানা, পঞ্জাব, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা পথে নামেন। যন্তরমন্তরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে তাঁরা দিল্লি রওনা দেন। কিন্তু দিল্লির সীমানায় পুলিশ আটকে দেয় তাঁদের। সেখানেই বসে পড়েন কৃষকরা। বিল প্রত্যাহারের ঘোষণার পরে এখনও পথেই বসে কৃষকরা। যদিও জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, প্রত্যাহার করা হবে তিনটি কৃষি আইন। কৃষকদের মন্তব্য ছিল, প্রধানমন্ত্রীর মুখের কথায় কিছু হবে না। সংসদে প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা পথেই থাকবেন। পাশাপাশি ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের নিশ্চয়তা-সহ আরও একগুচ্ছ দাবি তুলে ধরেন সরকারের কাছে।