এদিন বেলা দশটা নাগাদ ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভাষণের শুরুতেই গণতন্ত্রের বন্দনা শোনা যায় প্রধানমন্ত্রীর গলায়। তবে এরপরেই বিরোধীদের চরম কটাক্ষ হেনে মোদি বলেন, “সংসদে পরাজয়ের জন্য আপনারা হতাশা প্রকাশ করবেন না।” একইসঙ্গে তাঁর কথায়, “নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতিমূলক অনুষ্ঠান বা পরাজয়ের হতাশা প্রকাশ করার জন্য সংসদকে ব্যবহার করা উচিত নয়। কিছু দল রাজ্য নির্বাচনের আগে সংসদকে ব্যবহার করে এটি প্রমাণ করেছে। এই জাতীয় দলগুলির নিজেদের সংস্কার করা উচিত। সংসদ সদস্যদের নিজেদের মত প্রকাশের সুযোগ দিন।”
advertisement
আরও পড়ুন: ৬ স্টেশন থেকে ৮ জন…! ‘অপারেশন নানহে ফারিস্তে’ অভিযানে কামাল করল RPF পূর্বরেল
ভাষণে বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ মোদির—তিনি বলেন, “ড্রামা করার অনেক জায়গা আছে। সংসদ ড্রামার জায়গা নয়। ড্রামা নয় ডেলিভার করুন। নেগেটিভিটির বদলে নেশন বিল্ডিংয়ে মন দিন। কিছু রাজনৈতিক দল সংসদের অধিবেশনকে নির্বাচনের ওয়ার্ম আপ অথবা ভোটে হারের হতাশা প্রকাশ করার জন্য ব্যবহার করছেন। রাজ্য রাজনীতির স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে সংসদকে।তাঁদের বলব, গত দশ বছরে নিশ্চয়ই বুঝে গিয়েছেন মানুষ এটা পছন্দ করছে না। তাই নিজেদের খেলা বদলান। স্ট্র্যাটেজি বদলান।”
,একইসঙ্গে মোদির কথায়, “আমি বিরোধীদের পরামর্শ দিতে রাজি আছি, যে কীভাবে সংসদে পারফর্ম করতে হবে। নতুন সাংসদরা হতাশায় রয়েছে। তাঁরা নিজেদের এলাকার সমস্যার কথা তুলতে পারছেন না। তাঁরা নিজেদের মতামত দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না। হারের শোক থেকে বেরিয়ে আসুন আর সংসদে নিজেদের দায়িত্ব পালন করুন।”
প্রসঙ্গত, গতকালই সর্বদলীয় বৈঠকে তৃণমূল, কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, ডিএমকে-সহ বিরোধী দলগুলির তরফে এসআইআর নিয়ে আলোচনার দাবি জানানো হয়েছে। তৃণমূলের তরফে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে, তারা সংসদ চলুক সেটা চান কিন্তু সরকারের তরফেও সহযোগিতা করতে হবে তাঁদের। এসআইআর এবং রাজ্যের বকেয়ার ইস্যুতে এই অধিবেশনে সুর চড়াবে তৃণমূল। অন্যদিকে সমাজবাদী পার্টির রামগোপাল যাদব গতকালই ঘোষণা করেছেন, এসআইআর নিয়ে আলোচনা না হলে সংসদ অচল করবেন তাঁরা।
ঘটনা হল, এসআইআর নিয়ে আলোচনায় সরকারের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি বিরোধীদের। তবে সরকারের তরফে বন্দেমাতরম নিয়ে আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ করা হয়েছে বলে খবর। এ ছাড়াও চলতি সেশনে প্রায় ১৪টি বিল পাশ করাতে চাইছে সরকার।
আজ অধিবেশন শুরুর আগে সকাল ১০টায় বক্তব্য রাখবেন নরেন্দ্র মোদি। অধিবেশনে সরকারপক্ষের অবস্থান কেমন হবে, তারই সুর বেঁধে দেবেন তিনি। সকাল দশটাতেই বৈঠকে বসার কথা বিরোধী শিবিরেরও। যদিও সেই বৈঠকে অনুপস্থিত থাকতে পারে তৃণমূল।
