এদিকে আজ সকালে দফায় দফায় বৈঠক হয় বিরোধীদের। সকালে দলের সব সাংসদকে নিয়ে বৈঠক করে তৃণমূল। অন্যদিকে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকাজুর্ন খারগের ঘরে বিরোধী দলের বৈঠক হয়। বিরোধীদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সরকারের সঙ্গে ব্যক্তিগত ভাবে হোক বা দল হিসেবে হোক কোনও আলোচনায় বসা হবে না। বিরোধী দলের ১২ জন সংসদকে পুরো অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করার বিষয়টি নিয়ে রাজ্যসভায় লাগাতার আন্দোলন করা হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে লাগাতার আন্দোলনের জেরে কার্যত পণ্ড হয়েছে রাজ্যসভা। বিরোধীদের দাবি, সংসদ সচল রাখার দায়িত্ব সরকারের। বিরোধীদের যথাযোগ্য মর্যাদা না দেওয়াতেই সংসদ অচল, এই বার্তা সরকারকে পৌঁছে দিতে চায় বিরোধী শিবির।
advertisement
আরও পড়ুন: কলকাতার যখন ভোট চলছে, নিজেদের শক্ত 'গড়ে' ভাঙন ধরল BJP-তে! তৃণমূলের দখলে...
আজ সকাল থেকে একগুচ্ছ ইস্যুতে লোকসভা ও রাজ্যসভায় মুলতুবি প্রস্তাব দেয় বিরোধী শিবির। লাখিমপুর ইস্যুতে অজয় মিশ্র টেনির পদত্যাগের দাবিতে মুলতুবি প্রস্তাব দেয় তৃণমূল, কংগ্রেস, ডি এম কে, এবং সিপিআইএম। নির্বাচন কমিশন কে স্বাধীন সংস্থা করা নিয়ে আলোচনা র দাবিতে মুলতুবি প্রস্তাব দেয় কংগ্রেস। অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব দেয় সিপিআইএম। একইসঙ্গে রাজ্যসভায় লখিমপুর ইস্যুতে মুলতুবি প্রস্তাব দিয়েছে তৃণমূল এবং ডি এম কে এবং কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: কলকাতায় পুর-সন্ত্রাসের অভিযোগ, আদালতে একযোগে BJP-CPIM! সব নজর ২৩-শে
অন্যদিকে,মেয়েদের বিয়ের বয়স বৃ্দ্ধির পাশাপাশি আধারকার্ডের সঙ্গে ভোটারকার্ডের লিঙ্ক করা নিয়েও চলতি সপ্তাহে বিল আসতে চলেছে। চলতি শীতকালীন অধিবেশনেই বিলটি পাস করিয়ে নিতে চায় মোদি সরকার। তবে এই বিষয়টি বাধ্যতামূলক না করে ঐচ্ছিক হিসেবেও চালু করা হতে পারে। একইসঙ্গে নতুন ভোটারদের নাম নথিভুক্ত করার দিনও বাড়ানো হতে পারে। বর্তমানে প্রতি বছর ১ জানুয়ারি নতুন ভোটারদের ভোটার তালিকায় নাম তোলা হয়।