আর তিনি এমনটা বলার পরেই সংসদে হাসির রোল ওঠে। যদিও হেসে ওঠেন স্বয়ং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহও। তবে এর পাল্টা জবাব দেওয়ার জন্য উঠে দাঁড়ান তিনি। কড়া ভাষায় অখিলেশকে এর জবাব দেন। তারপরেই অবশ্য অখিলেশ এবং অন্যান্য বিরোধী দলের সাংসদরা মুচকি মুচকি হাসতে থাকেন। কারণ বিষয়টি শুধু অখিলেশ বা তাঁর দলকে নিয়ে নয়, বরং সমস্ত বিরোধী দলের জন্যই ছিল।
advertisement
আসলে ওয়াকফ বোর্ড সংশোধনী বিল সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার সময় অখিলেশ যাদব নিজের পক্ষ পেশ করতে শুরু করেন। তিনি বলেন যে, “আমি বুঝতে পারছি যে এই বিষয়টা উত্থাপন করতে চাইনি। কিন্তু আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি। যে বিলটি আনা হচ্ছে অর্থাৎ এই বিলটি নিয়ে বিজেপির অন্দরে প্রতিযোগিতা চলছে। কে বড় খারাপ হিন্দু, তা নিয়েই দলের অন্দরে প্রতিযোগিতা চলছে।”
বিষয়টিকে আরও এগিয়ে নিয়ে অখিলেশ বলেন, “বিজেপি দাবি করে যে, তারা বিশ্বের সবচেয়ে বড় দল। কিন্তু তারা এখনও নিজেদের জাতীয় সভাপতি নির্বাচন করে উঠতে পারেনি। বিজেপি আসলে কী?” অখিলেশের এই কথার সঙ্গে সঙ্গে হাসিতে ফেটে পড়েন বিরোধী দলের সাংসদরা। এমনকী, শাসক দলের কিছু কিছু সদস্যও হেসে উঠেছিলেন। উচ্চস্বরে অবশ্য হেসে উঠেছিলেন স্বয়ং অমিত শাহও। এরপর তিনি উত্তর দেওয়ার জন্য উঠে দাঁড়ান।
অমিত শাহ পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে বলেন, ‘‘অখিলেশজি হাসতে হাসতে এই কথাটা বললেন, তা সত্ত্বেও আমি হাসিমুখেই এর উত্তর দেব। এই যে সামনে তাঁর এবং অন্যান্য সব পার্টি বসে রয়েছে, তাঁদের মধ্যে থেকে পাঁচ জনকে একসঙ্গে মিলে জাতীয় সভাপতি নির্বাচন করতে হবে। আর সভাপতিও আপনারাই থাকবেন।’’ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আরও বলে চলেন যে, ‘‘অখিলেশজি, আপনি তো আরও ২৫ বছরের জন্য সমাজবাদী পার্টির সভাপতি রয়ে যাবেন। কেউই আপনাকে বদলাতে পারবেন না।” এই কথা শোনামাত্রই কক্ষে থাকে উভয় পক্ষের সাংসদই হাসিতে ফেটে পড়েন। এরপর অমিত শাহ স্পষ্ট করে দেন যে, “আমাদের দলের জাতীয় সভাপতিকে আমাদের লক্ষ লক্ষ লোকের দ্বারা নির্বাচিত করতে হবে। সেই কারণে এই প্রক্রিয়ায় একটু সময় লাগছে।”