বৃষ্টি কমে যাওয়ার পর থেকেই তাপমাত্রা বাড়ছে। খাদ্য এবং পানীয়ের সন্ধানে বন্য প্রাণীরা জঙ্গল ছেড়ে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। তাদের সকলেরই লক্ষ্য মনুষ্য বসতি। এই পরিস্থিতিতে আতঙ্ক বাড়ছে জনবহুল এলাকাতেও। সন্ধ্যার পর ঘর থেকে বেরনোই দায় হয়ে পড়েছে গ্রামের বাসিন্দাদের।
আরও পড়ুন: রাগের আধারে রবীন্দ্রসঙ্গীত, উস্তাদ রসিদ খান ও ইমতিয়াজ আহমেদের যুগলকণ্ঠে নতুন অ্যালবাম
advertisement
ভিলওয়াড়া জেলার গঙ্গাপুর এলাকায় এমন কিছু গ্রাম রয়েছে, যেখানে ইদানীং শুরু হয়েছে চিতাবাঘের আনাগোনা। সতর্কতা জারি করেছে বন দফতর, সূর্যাস্তের পর কেউ যেন ঘর থেকে না বেরোন।
জানা গিয়েছে ওই গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় একটি চিতাবাঘের উপস্থিতি টের পাওয়া গিয়েছে। ইতিমধ্যে দু’টি গবাদি পশুকে শিকারও করেছে সে। চিতাবাঘ ধরতে বিভিন্ন জায়গায় খাঁচা বসানো হয়েছে।
গঙ্গাপুর এলাকায় যে চিতাবাঘের আনাগোনা শুরু হয়েছে, তা একপ্রকার নিশ্চিত। চিতাবাঘের পায়ের ছাপ পেয়েছে বন বিভাগ। আর তাতেই ছড়িয়েছে আতঙ্ক। বন দফতরের প্রতিনিধি দল ওই এলাকায় লাগাতার টহল দিচ্ছে।
বন দফতরের আধিকারিক নারায়ণ সিং রাজপুত জানান, দীর্ঘদিন ধরে গঙ্গাপুর ও রায়পুর এলাকায় চিতাবাঘের আনাগোনা টের পাওয়া যাচ্ছিল। এই দুই এলাকায় একাধিক চিতাবাঘ ঘাঁটি গেড়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা, বিশেষত খনি এলাকায়। এই সব পানীয় জল পাওয়া যায় বলেই বুনো পশুরা আনাগোনা করে। তাছাড়া, মনুষ্য বসতি হওয়ায় গরু, মোষ, ছাগলও ঘোরাফেরা করে এখানে। ফলে খাদ্যেরও অভাব হয় না। গত দু’দিনে গঙ্গাপুরের সিভিল লাইন, ডাম্পিং ইয়ার্ড-সহ বেশ কিছু এলাকায় চিতাবাঘের উপস্থিতি টের পাওয়া গিয়েছে।
গঙ্গাপুর বন বিভাগের রেঞ্জার ধীরেন্দ্র সিং চুন্দাওয়াত জানিয়েছেন, গঙ্গাপুর এবং রায়পুর এলাকায় চিতাবাঘের গতিবিধি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে। সূর্যাস্তের পর ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। চিতাবাঘের দেখা পাওয়া গেলেই বনবিভাগকে জানাতে বলা হয়েছে। আতঙ্কে খেতে কাজ করাও বন্ধ করে দিয়েছেন কৃষকেরা।