সিন্ধু প্রদেশের হায়দরাবাদ থেকে দুই সন্তানকে নিয়ে ভারতে চিকিৎসা করাতে নিয়ে এসেছেন এক পাকিস্তানি দম্পতি। অসহায় বাবা টেলিফোনে জিও নিউজের সঙ্গে কথা বলেন, তাঁর অনুরোধ দুই সন্তানের বয়স মাত্র ৯ এবং ৭ বছর। তারা জন্মগত হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছে। তাদের চিকিৎসা শেষ হওয়া পর্যন্ত যেন তাদের ভারতে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়। যদিও ওই বাবার পরিচয় জানায়নি চ্যানেল।
advertisement
জানা গিয়েছে, দুটি শিশুরই হৃদযন্ত্রের সমস্যা রয়েছে। উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকায় নয়াদিল্লি এসে তাদের চিকিৎসা করাচ্ছিলেন। কিন্তু তার মধ্যেই পহেলগাঁওয়ের এই ঘটনা। পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাসপাতাল ও চিকিৎসকরা পরিবারকে সহযোগিতা করছেন, তবে পুলিশ ও পররাষ্ট্র দফতর তাদের দ্রুত দিল্লি ত্যাগ করতে বলেছে। দুই শিশুর বাবা বলেন, “সরকারের কাছে আবেদন করছি, আমার বাচ্চাদের চিকিৎসা সম্পূর্ণ করার অনুমতি দেওয়া হোক। আমাদের যাতায়াত, থাকা এবং তাদের চিকিৎসার জন্য প্রায় ১ কোটি টাকা খরচ করেছি।”
লাহোরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তাদের তরফে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পাকিস্তানে থাকা ১০০ জনেরও বেশি ভারতীয় নাগরিক ভারতে ফিরে এসেছেন। এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এক সরকারি আধিকারিককে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ১০৫ জন ভারতীয় এবং ভারতে থাকা ২৮ জন পাকিস্তানি নাগরিক দেশে ফিরেছেন। শুক্রবার লাহোরের কাছে ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে আরও অনেক ভারতীয় নাগরিক দেশে ফিরেছেন এবং একইসঙ্গে বেশ কয়েকজন পাকিস্তানের বাসিন্দাও ভারত থেকে ফিরেছেন।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকেলে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিদের গুলিতে ২৬ জনের মৃত্যু হয়, যা ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর উপত্যকায় সবচেয়ে মারাত্মক হামলা। এই হামলার পর ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে অনেক বসল নিয়ে এসেছে ইতিমধ্যেই। বাতিল হয়েছে একাধিক চুক্তি। পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য ভিসা পরিষেবা প্রত্যাহারও করা হয়েছে, আর তাতেই সমস্যায় পরেছে পাকিস্তান থেকে ভারতে চিকিৎসা করাতে আসা এই পরিবার।