মূলত উত্তর এবং পশ্চিম ভারতের বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটি এবং সেনা পরিকাঠামোয় হামলার চেষ্টা হয় পাকিস্তানের পক্ষ থেকে৷ যে যে শহরে হামলার চেষ্টা হয় তার মধ্যে রয়েছে অবন্তিপুরা, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, কাপুরথলা,জলন্ধর, লুধিয়ানা, আদমপুর, ভাতিন্ডা, চণ্ডীগড়, নাল, ফালোদি, উত্তরলাই এবং ভুজ৷
আরও পড়ুন: ২৬ বছরের পুরনো হিসেব চোকাল ভারত, অপারেশন সিঁদুরে নিকেশ কান্দাহার বিমান অপহরণের মূল চক্রী
advertisement
প্রতিটি ক্ষেত্রে ড্রোন এবং মিসাইলের মাধ্যমে হামলার চেষ্টা করা হয় বলে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে৷
যদিও পাকিস্তানের এই অপচেষ্টা ধরে পড়ে ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম৷ কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, ইন্টিগ্রেটেড ইউএএস গ্রিড এবং এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের সাহায্যেই পাকিস্তানের পাঠানো সমস্ত ড্রোন এবং মিসাইল ধ্বংস করে ফেলা হয়৷ আজ সকালে এই সমস্ত ড্রোন-মিসাইলের ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করা হয়েছে, যা এই হামলার চেষ্টার পিছনের পাকিস্তানের যোগ স্পষ্ট করেছে৷
এর পাল্টা জবাবে ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের একাধিক জায়গায় তাদের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এবং র্যাডারকে নিশানা করে ভারতের সশস্ত্র বাহিনী৷ কেন্দ্রীয় সরকারের বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, ভারতের পাল্টা জবাবে লাহোরে পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধ্বংস হয়ে গিয়েছে৷ বিশ্বস্ত সূত্রেই এই খবর মিলেছে বলে কেন্দ্রীয় সরকার দাবি করেছে৷
এই বিবৃতিতেই ভারত ফের মনে করিয়ে দিয়েছে যে অপারেশ সিঁদুর-এ পাকিস্তানের কোনও সেনা ঘাঁটি বা সামরিক পরিকাঠামোকে নিশানা করা হয়নি৷ শুধুমাত্র পাকিস্তানের মাটিতে থাকা ভারত বিরোধী জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে ধ্বংস করাই ছিল একমাত্র লক্ষ্য৷ ভারতের কোনও সামরিক ঘাঁটি বা পরিকাঠামোয় হামলা হলে যে তার উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে, সেই হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছে নয়াদিল্লি৷
