কাশ্মীর অভিযোগে কড়া ভারত ৷ পাক সন্ত্রাস নিয়ে ভারত তথ্যপ্রমাণ জমা দিয়েছে রাষ্ট্রসংঘে ৷ ভারত দাবী করেছে, পাকিস্তানে সক্রিয় ৩০০-রও বেশি জঙ্গি শিবির ৷ পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্রের তকমা দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে ভারত ৷
বুরহান ওয়ানির পাল্টা হাতিয়ার বুঘতি। রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধির প্রশ্ন, সন্ত্রাসবাদী বুরহানকে দেশপ্রেমিক বানিয়ে কাশ্মীর তাস খেলছে পাকিস্তান। বালোচিস্তানে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে পাক সরকারের হেলদোল নেই কেন? পাকিস্তান কেন সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর, তাও স্পষ্ট হল কেন্দ্রের সওয়ালে।
advertisement
রাষ্ট্রসংঘে ভারতের সওয়ার, ‘সন্ত্রাসবাদ হল পাকিস্তানের জাতীয় নীতি। দেশের নীতি যখন হয় সন্ত্রাস তা অপরাধ। যার ফল ভোগ করে ভারত সহ প্রতিবেশীরা। ধমনীতে ইনজেকশনের মতো ছড়িয়ে পড়ে সন্ত্রাস। গোটা বিশ্ব সেটা জানে। আমরা আরও একবার সেই প্রমাণ তুলে দিচ্ছি মাত্র।’
জইশ ই মহম্মদ, হিজবুল মুজাহিদিন, আল বদরের মতো জঙ্গি সংগঠনের সাড়ে ৪৫০-রও বেশি জঙ্গিঘাঁটি সক্রিয় পাকিস্তানে। এর মধ্যে শুধু উত্তর পাকিস্তানেই রয়েছে শতাধিক ঘাঁটি। বাকিটা ছড়িয়ে রয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। ম্যাপ দিয়ে যে জায়গাগুলোও জঙ্গি ঘাঁটির অবস্থান বলে দাবি করেছে তা হল,
তক্ষশিলা
ওয়াজিরিস্থান
করাচি
মুলতান
পেশোয়ার
হারসানওয়ালা
জাভেদ নগর
মোকদিমস্থান
বালোচিস্থানে পাক প্রশাসন লাগাতার মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। এদিন অধিবেশন চলার সময়ও রাষ্ট্রসংঘের দপ্তরের বাইরে বিক্ষোভ দেখায় নির্বাসনে থাকা কয়েকশো বালুচবাসী।
রাষ্ট্রসংঘের স্থায়ী প্রতিনিধি সৈয়দ আকবরউদ্দিন বলেন, ‘বালোচিস্থানে নাগরিক পরিষেবাও দেয় না পাকিস্তান। এটা চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন। কাশ্মীরেরও ওরা সেটাই করতে চাইছে। পাকিস্তানের উস্কানিতেই জঙ্গিরা উপত্যকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে। বহু জঙ্গি সংগঠনকেই অর্থের যোগান দেয় পাকিস্তান। পাক প্রধানমন্ত্রী আজ নিজেই তা প্রমাণ করেছেন। হিজবুল জঙ্গি কমান্ডারকে নিজেই স্বীকৃতি দিচ্ছেন।’
ভারতের নজিরবিহীন আক্রমণে কিছুটা হলেও দিশা হারিয়েছে পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার বিকেলে মহাসচিব বান কি মুনের সঙ্গে দেখা করেও খালি হাতে ফিরতে হয় পাক প্রধানমন্ত্রীকে। বুধবার যা বলেছিলেন, এদিনও তাতেই অনড় মুন। অর্থাৎ কাশ্মীরে রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।