শনিবার কোঝিকোড়ে বিজেপির দলীয় অনুষ্ঠানে সরাসরি পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, উরিতে ১৮ জন জওয়ানের বলিদান ভুলবে না ভারত ৷ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, পাকিস্তানের রপ্তানি করা সন্ত্রাসের মোকাবিলা করবে ভারত। পাকিস্তানকে জবাব দেওয়া হবে তাদের অস্ত্রেই। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানকে এক ঘরে করার প্রচেষ্টার কথা আরও একবার মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী ৷
advertisement
প্রধানমন্ত্রীর এই ভাষণের পরই সোশ্যাল মিডিয়া এবং রাজনৈতিক মহলে বিতর্কের ঝড় উঠে ৷ পাকিস্তানকে চরম হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য নিয়ে যেখানে বিজেপি গর্ব করছে, সেখানে অন্যান্য বিরোধী দল প্রধানমন্ত্রীর এই ভাষণের সমালোচনায় মুখর ৷ তাদের মতে, মোদির এই বক্তব্য সংবেদনাহীন ৷
অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের তীব্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়েছে পাক মিডিয়া ও সোস্যাল হ্যান্ডেলেও ৷ শনিবারে প্রধানমন্ত্রীর এই ভাষণকে হুমকি হিসেবেই নিয়েছে পাকিস্তান ৷
পাকিস্তানের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘হিম্মত হো তো আও! যদি হিম্মত থাকে তো পাকিস্তান দেশ থেকে গরিবি হঠাক। দেখি কোন দেশ থেকে আগে গরিবি হঠে! পাকিস্তানের জওয়ান এসো দেখি কে আগে গরিবি হঠাতে পারে দেশ থেকে। অশিক্ষার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেখি কে আগে জেতে! হিন্দুস্তান নাকি পাকিস্তান? ’’
পাক মিডিয়ার প্রতিক্রিয়া
পাক মিডিয়া প্রধানমন্ত্রীর এই ভাষণকে সরাসরি হুমকি বলে মনে করছে ৷ পাকিস্তানি চ্যানেল জিও নিউজ নিজের ওয়েবসাইটে লিখেছে, ‘ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানকে হুমকি দিয়েছে ৷’
পাকিস্তানের খবরের কাগজ ‘দি নিউজ’ লিখেছে, ‘উরি অ্যাটাকের পর প্রথম জনসভায় এসে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানকে পুরো দুনিয়া থেকে আলাদা করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন ৷’
পাকিস্তানে বহুল সম্প্রচারিত এবং বিখ্যাত মিডিয়া সংস্থা, প্রধানমন্ত্রী মোদির ভাষণ তাদের চ্যানেলে দেখায় এবং একই সঙ্গে প্রশ্ন তুলেছে ভারতীয় সেনার হাতে কত পাকিস্তানি শহীদ হয়েছে ৷
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ চলাকালীন পাকিস্তানে ট্যুইটারে ট্রেন্ড ছিল #bharatronabundkaro (অর্থাৎ ভারত কাঁদা বন্ধ কর)