সীমান্তে ভারতীয় সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর গোপন তথ্য চলে যাচ্ছে পাকিস্তানের হাতে। পাঠানকোট বা উরির মতো একের পর এক হামলার তদন্তে নেমে সেই আশঙ্কার কথাই উঠে আসে বারবার। এবার গোয়েন্দাদের হাতে এল তার শিকড়ও। সরষের ভিতর ভূতের মতো, দিল্লির বুকে পাক হাই কমিশনেই লুকিয়ে ছিল আইএসআই গুপ্তচর।
পাক হাই কমিশনের ভিসা বিভাগে কাজ করার সূত্রে দেশের নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেত মহম্মদ আখতার। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই সে তৈরি করেছিল গুপ্তচরদের মডিউল।
advertisement
পাক গুপ্তচরদের দলে ছিল যোধপুরের শোয়েব নামে এক ভিসা এজেন্ট। এছাড়াও কয়েকজন ব্যক্তি নিয়ে তৈরি এই দলে ছিল দিল্লির নাগাওয়াড়ার বাসিন্দা মওলানা রমজান খান ও সুভাষ জাহাঙ্গির।
২৫ অক্টোবর দিল্লির চিড়িয়াখানায় পর্যটকদের ভিড়ের মাঝে পাক হাই কমিশনের কর্মী মেহমুদ আখতারের হাতে তথ্য তুলে দেওয়ার কথা ছিল। খবর পেয়ে ফাঁদ পাতেন গোয়েন্দারা। তাতেই জালে দুই পাক গুপ্তচর।
কূটনৈতিক রক্ষাকবচের জেরে গ্রেফতার করা যায়নি মেহমুদ আখতারকে। তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লাগাতার জেরা চলছে ধৃতদের। চরবৃত্তির শিকড় কতটা ছড়িয়েছে তা জানতে চাইছেন গোয়েন্দারা।