মঙ্গলবার কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র পহেলগাঁও-এ লস্কর-ই-তইবা-ঘনিষ্ঠ জঙ্গিরা পর্যটকদের উপর গুলি চালায়। ঘটনায় অন্তত ২৬ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে বিদেশি পর্যটকও ছিলেন। আহত হয়েছেন বহু মানুষ। ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (TRF) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
advertisement
এই ঘটনার পরপরই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের শীতল স্রোত নতুন করে বইছে৷ পাকিস্তানের এমন আক্রমণের পর ভারত কী করে সেই অপেক্ষায় সবাই৷ অনেকে যুদ্ধের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না৷ ভারত চুপচাপ বসে থাকবে না, এটা ধরে নিয়ে আপাতত প্রবল সতর্ক পাকিস্তান৷ সীমান্তে তারা যুদ্ধ বিমান ও অন্যান্য যুদ্ধ সামগ্রী জড়ো করতে শুরু করছে৷ পাক সেনা যে ইতিমধ্যেই চঞ্চল হয়ে উঠেছে সেটাও পরিষ্কার Flightradar24-এর তথ্যে৷
সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে দাবি করছেন, এই তৎপরতার পেছনে পাকিস্তানের উদ্দেশ্য হল ভারতে উত্তেজনা ছড়িয়ে সীমান্তে সাময়িক সংঘর্ষ তৈরি করা, যাতে নিজেদের দেশে পোক্ত ভাবমূর্তি গড়া যায়। অনেকে একে ২০১৯ সালের বালাকোট আক্রমণের পর ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের সম্ভাবনার সঙ্গে তুলনা করছেন।
আরও পড়ুন: পহেলগাঁওতে হামলায় কেন আদিলকে মারে জঙ্গিরা? শেষকৃত্যে যোগ দিয়ে জানালেন কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী
ঠিক কী হয়েছিল ২০১৯-এ? সেই বছর ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতের পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ের উপর জইশ-ই-মহম্মদ আত্মঘাতী হামলায় চালিয়েছিল৷ নির্বিচার গুলি ও বিষ্ফোরণের কারণে ৪০ জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন। ভয়ঙ্কর এই ঘটনায় রীতিমতো তেতে উঠেছিল গোটা ভারত৷ সেই ঘটনার বদলা ভারত নিয়েছিল ২৬ ফেব্রুয়ারি৷ সেবার বালাকোটে জইশ ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালিয়ে সবকিছু তছনছ করে দেয় তারা।
এবারও কী প্রতিশোধের সম্ভাবনা? গোপন সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, জঙ্গিরা পর্যটকদের ধর্ম জিজ্ঞাসা করে গুলি চালায়। ঘটনাস্থলের ভিডিওতে ভয়, আতঙ্ক এবং বিশৃঙ্খলা দেখা যায়।