ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের লখিমপুর জেলায়। সেখানকার গোমতিনগর থানার তিন পুলিশকর্মী এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। অভিযোগ মঙ্গলবার রাতে একটি বিবাদের ঘটনায় ওই গাড়িটি আটক করে পুলিশ। সেটি থানাতেই রাখা ছিল। আটক করা সেই গাড়ি নিয়েই এক সাব ইনস্পেক্টর এবং দুই কনস্টেবল বুধবার বেরিয়ে যান। লখিমপুর খেরি জেলায় একটি ঘটনার তদন্তের কাজে গিয়েছিলেন তারা। কিন্তু গাড়িটিতে যে জিপিএস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ট্র্য়াকিং সিস্টেম রয়েছে, তা জানতেন না ওই পুলিশকর্মীরা।
advertisement
ফলে গাড়িটি চলতে শুরু করতেই তা টের পেয়ে যান গাড়ির মালিক। গাড়িটি যখন লখনউ থেকে ১৪৩ কিলোমিটার দূরে, তখন স্বয়ংক্রিয় ব্য়বস্থার মাধ্যমে গাড়িটি লক করে দেন গাড়ির মালিক। সঙ্গে সঙ্গে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে থেমে যায় গাড়িটি। সবকটি দরজা লক হয়ে যাওয়ায় ভিতের আটকে যান তিন পুলিশকর্মী। এর পর লখিমপুর খেরি জেলার নয়ি বস্তি এলাকায় গাড়িটির খোঁজ পান সেটির মালিক। শেষ পর্যন্ত তিনি গিয়ে পাসওয়ার্ডের সাহায্যে গাড়ির লক খুলে ওই পুলিশকর্মীদের উদ্ধার করেন।
ক্ষুব্ধ গাড়ির মালিক এর পরেই বিনা অনুমতিতে তাঁর গাড়ি ব্যবহারের জন্য ওই পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানান। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গোমতিনগর থানার স্টেশন অফিসার প্রমেন্দ্র কুমার সিং জানিয়েছেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্য়বস্থা নেওয়া হবে।
গাড়ির নিরাপত্তার জন্য় অনেকেই জিপিএস লকিং সিস্টেম ব্যবহার করেন। এই ব্য়বস্থায় গাড়ির মালিক যদি মনে করেন যে তাঁর অজান্তে তাঁর গাড়ি ব্যবহার করা হচ্ছে,তা হলে সঙ্গে সঙ্গে তিনি মাইক্রো কন্ট্রোলারকে মেসেজ পাঠিয়ে গাড়ির ইঞ্জিন এবং দরজা বন্ধ করে দিতে পারেন। এর পর গাড়ির মালিক ফের মাইক্রো কন্ট্রোলারকে পাসওয়ার্ড পাঠালে তবেই গাড়িটি সচল করা সম্ভব হয়।