কংগ্রেসের তরফে বিলটি নিয়ে লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী বলেন, এই বিল জন বিরোধী। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার সঙ্গে আলোচনার পর বিলটি পেশ করার প্রতিশ্রতি দেওয়া হলেও, কার্যক্ষেত্রে সেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন অধীর। তৃণমূলের তরফে সৌগত রায় সরাসরি বিলটিকে জনবিরোধী বলে আখ্যা দেন। একইসঙ্গে তিনি বিলটিকে জনবিরোধী বলে মন্তব্য করেন। বিলটির বিরোধিতায় সরব হন আকালি দলের সাংসদ হরসিমরৎ কাউর বাদল। তিনি বলেন, কৃষকদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে মোদি সরকার। ইতিমধ্যেই সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার তরফে বিল পেশের বিরোধিতা করে দেশব্যাপি আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। এই আন্দোলনে সামিল হবে সিটু, সারা ভারত কৃষক সভা, এবং অল ইন্ডিয়া এগ্রিকালচারাল ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন। তাদের আন্দোলনের কারণেই কেন্দ্রীয় সরকার বিলটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠাতে বাধ্য হয়েছে বলে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা।
advertisement
আরও পড়ুন: বর্ষায় জামাকাপড়ে হলদেটে দাগ? চিন্তা নেই, এভাবে কাচলেই সাদা জামা হবে উজ্জ্বল
আরও পড়ুন: গরু পাচারে শুধু শাসক দলের নেতারাই যুক্ত নন, বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দু অধিকারীর!
এই বিলের মাধ্যমে একাধিক বেসরকারি সংস্থাকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার ছাড়পত্র দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ টেলিকম সংস্থার মতো একাধিক সংস্থা এবার থেকে বিদ্যুতের সংযোগ দেবে। তার মধ্যে যে কোনও একটিকে বেছে নিতে পারবেন গ্রাহকরা। বেসরকারি সংস্থাকে ছাড়পত্র দেওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুতের মাশুলে বদল আনা হচ্ছে। এই বিলে বিদ্যুৎমাশুলের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন সীমারেখা থাকছে। অর্থাৎ গ্রাহক এবং বিদ্যুৎ সংস্থা দুই পক্ষেরই স্বার্থ যাতে অক্ষুন্ন থাকে তার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি কেন্দ্রের। তবে বিদ্যুৎ বিলের বিরোধিতায় ইতিমধ্যেই সরব অল ইন্ডিয়া পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারস ফেডারেশন। সরাসরি বিলটি লোকসভায় না এনে আগে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠিয়ে বিস্তারিত আলোচনার দাবি জানায় তারা।
RAJIB CHAKRABORTY