গত শুক্রবার মহারাষ্ট্রে একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘‘আমরা কৃষি সংশোধনী আইন নিয়ে এসেছি। কিন্তু, কিছু মানুষ এই আইনগুলি পছন্দ করেননি। স্বাধীনতার ৭০ বছর পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে একটি বড় সংস্কার ছিল এই তিনটি আইন।’ তিনি আরও বলেন, "তিনটি কৃষি আইন রদ করা নিয়ে কিন্তু সরকার হতাশ নয়। আমরা একধাপ পিছিয়েছি এবং আমরা আবার এগিয়ে যাব কারণ কৃষকরা ভারতের মেরুদন্ড।" এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় প্রধানমন্ত্রীর জবাবদিহি দাবি করেছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: ভাঙন 'আসছে', নাড্ডার কাছে শান্তনু ঠাকুর! বঙ্গ বিজেপি-তে ফের রদবদল?
তাঁর কথায়, "প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি কৃষকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করলেন। তাহলে কি সবটাই লোক দেখানো? পুরোটাই মিথ্যা ছিল? নাকি জনগণের উদ্দেশ্যে উনি এইরকম ভিত্তিহীন কথাই বলেন? জবাব তো প্রধানমন্ত্রীকেই দিতে হবে।" সিপিএমের কৃষক নেতা হান্নান মোল্লা আবার বলেছেন, "বিজেপি'র সবকিছু জুমলা। ওদের কথায় বিশ্বাস করার কোন প্রয়োজন নেই। আমরাও করিনি। শীর্ষনেতারা যেখানে ক্ষমা চেয়ে আইন প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। সেখানে দলেরই অন্য নেতারা আবার আইন আনার ইঙ্গিত দিচ্ছে! বিজেপি'কে কোনও ভাবেই বিশ্বাস করা যায় না। তার প্রমাণ বিজেপি নিজেই। ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে এখনও পর্যন্ত সরকার কোনো সঠিক সিদ্ধান্তে আসেনি। তাই আমাদের আন্দোলনও কিন্তু বন্ধ হয়ে যায়নি। সাময়িক স্থগিত হয়েছে। সরকারের পদক্ষেপ অনুযায়ী আমরাও আমাদের সিদ্ধান্ত নেব।"
আরও পড়ুন: 'আরও পাঁচটি গেল মনে হচ্ছে', BJP-কে বিঁধে বিস্ফোরক বাবুল সুপ্রিয়! গেরুয়া শিবিরে ঝড়
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রীর এই মন্তব্যের পর নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি। রাহুল লিখেছেন, "দেশের কৃষিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়াকে অপমান করেছেন। যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। যদি আবার কৃষক বিরোধী পদক্ষেপ করা হয় তাহলে অন্নদা তারা আবার সত্যাগ্রহে সামিল হবেন। আগেও দর্প চূর্ণ হয়েছে আবার হারাবো।"প্রসঙ্গত, তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইন নিয়ে দেশ জুড়ে আন্দোলনে সামিল হয় দেশের বিভিন্ন কৃষকগোষ্ঠী৷