গোয়েন্দাদের দাবি, যে ঘাঁটিগুলি ধ্বংস করা হয়েছে, তার মধ্যে সবথেকে হাই প্রোফাইল হল মুরিদকে৷ পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে লাহৌরের কাছে অন্যতম জঙ্গিঘাঁটি মুরিদকে৷ গত কয়েক বছর ধরে এই নাম পরিচিত লস্কর-এ-তৈবার স্নায়ুকেন্দ্র বলে পরিচিত৷ গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত মুরিদকে মরকজ জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বলে পরিচিত৷ এখানকার ছাত্রদের মধ্যে মৌলবাদ প্রোথিত করে তাদের জঙ্গি কার্যকলাপে যোগ দিতে উৎসাহ দেওয়া হয়৷ মুরিদকে একাধারে লস্কর-এ-তৈবার মতবাদ প্রচারকেন্দ্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আবাসিকদের থাকার জায়গা, অস্ত্র প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং কর্মী নিয়োগ কেন্দ্র৷
advertisement
অন্যদিকে আট্টারি-ওয়াঘা সীমান্ত থেকে ২৫-৩০ কিলোমিটার দূরে মরকজেও প্রতি বছর হাজারের কাছাকাছি শিক্ষানবিশ নেওয়া হয় বিভিন্ন কোর্সে৷ গোয়েন্দা সূত্রে খবর, লস্কর-এ-তৈবার বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী কাজ সম্পন্ন করে এখান থেকে শিক্ষাপ্রাপ্তরা৷ গোয়েন্দা সূত্রে খবর, মরকজ তৈবা কমপ্লেক্সে অতিথিশালা ও ধর্মীয় স্থান নির্মাণে ১০ মিলিয়ন অর্থ অনুদান দিয়েছিলেন স্বয়ং ওসামা বিন লাদেন৷
আরও পড়ুন : ‘অপারেশন সিঁদুর’ কীভাবে হল? ব্যবহৃত অস্ত্র, সময়সীমা নিয়ে জানুন এক্সক্লুসিভ তথ্য
গোয়েন্দাদের দাবি, আজমল কাসভ-সহ ২৬-১১ হামলার বাকি জঙ্গিও প্রশিক্ষিত হয় এখানে৷ তাদের এই প্রশিক্ষণের পোশাকি নাম ‘দৌড়া-এ-রিব্বাফ’৷ এছাড়াও সন্ত্রাসবাদী ডেভিড কোলম্যান হেডলি, তাহাউর হসেইন রানার মতো জঙ্গিরা মুরিদকেতে এসেছেন জাকির-উর-রহমান লখভির নির্দেশে৷
লাহৌর থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে প্রধান সড়কের ধারে মরকজ গত শতকের আটের দশকে আদতে তৈরি হয়েছিল সোভিয়েত রাশিরায় আফগান জিহাদিদের পাশে থাকতে৷ পরবর্তীতে ক্রমে এটা পরিণত হয় ভারতবিরোধী কাজের ঘাঁটিতে৷ ৯-১১ জঙ্গি হামলার পর আন্তর্জাতিক চাপের মুখে লস্কর-এ-তৈবাকে নিষিদ্ধ করে পাকিস্তান৷ সে সময় মরকজ পরিণত হয় জামাত-উদ-দাওয়ায়৷ এই মর্মে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে৷
আফগানিস্তানে সোভিয়েত আগ্রাসন রুখতে লস্কর-এ-তৈবা তৈরি হয় হাফিজ মহম্মদ, জাফর ইকবাল এবং আবদুল্লাহ আজমের হাতে৷ এর ছাতা সংগঠন মরকজ-উদ-দাওয়া-ওয়াল-ইরশাদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৮৭ সালে৷