রবিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর, মনসুখ মাণ্ডব্য, প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনরা সকাল থেকেই টুইট করে টিকাকরণের এক বছরে সরকারের সাফল্য তুলে ধরেছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে মাই গভ.ইন এর তরফেও ব্যাপক প্রচার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- পঞ্জাব কংগ্রেসে কোন্দল চলছেই, এবার মুখ্যমন্ত্রীর ভাই নির্দল প্রার্থী হওয়ার পথে
ওমিক্রন রূপে করোনার তৃতীয় ঢেউ যখন সারা ভারতে ব্যপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, সেই সময়েই টিকাকরণের সাফল্য তুলে ধরতে চায় মোদি সরকার। কেন্দ্রের তরফে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে, এক বছর ধরে ব্যাপক টিকাকরণের কারণেই তৃতীয় ঢেউয়ে ক্ষয়ক্ষতির প্রকোপ তুলনামূলকভাবে অনেক কম। যদিও টিকানীতির প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রের মোদি সরকারের সমালোচনা করতে ছাড়েনি বিরোধীরা।
advertisement
সরকারের টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা এবং বর্তমান টিকাদানের পরিসংখ্যান নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে একযোগে তোপ দেগেছে কংগ্রেস, তৃণমূল। কংগ্রেস নেতা অধ্যাপক গৌরব বল্লভ বলেন, "মোদি সরকার করোনা প্রতিহত করতে টিকাকরণের গতি বৃদ্ধির কথা বলছে, অথচ সব রাজ্যকে সমানভাবে টিকা প্রদান করা হচ্ছে না। তাহলে সব কটি রাজ্য একযোগে টিকাকরণের গতি বৃদ্ধি করবে কীভাবে? কেমন করেই বা তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলা করা সম্ভব হবে?"
আরও পড়ুন- ১ বছর, ১৫৬ কোটি কোভিড টিকা! 'দ্রুততম ও বৃহত্তম' ভ্যাকসিন ড্রাইভের বর্ষপূর্তি আজ
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগেও করোনা টিকার পর্যাপ্ত জোগান না পাওয়ার অভিযোগে সরব হয়েছে রাজ্যগুলি। তৃণমূল সাংসদ এবং চিকিৎসক শান্তনু সেন বলেন, "ভারত সরকারের টিকা নীতি সারা বিশ্বে তিরস্কৃত হয়েছে। টিকার বিষয়ে যদি লক্ষ্য করা যায়, তা হলে দেখা যাবে, প্রচার সর্বস্ব প্রধানমন্ত্রী শুধুমাত্র গালভরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু তার বাস্তবায়ন করে উঠতে পারেননি। সেই কারণেই, প্রথমদিকে যখন আমরা দেখেছিলাম যে, মানুষের অনীহা রয়েছে কারণ সেই সময় টিকা নিয়ে মানুষের ধারণা কম ছিল। যখন মানুষ স্বেচ্ছায় টিকা নিতে শুরু করল, তখন টিকার হাহাকার।"
তিনি আরও বলেন, "পশ্চিমবঙ্গের মতো যে রাজ্যগুলিতে টিকাদানের হার ভাল, সেগুলিতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে জোগান কম দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী এত প্রতিশ্রুতি দিলেও, এখনও বলতে পারেননি কবের মধ্যে দেশের সমস্ত প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে পারবেন।"