সমাজবাদী পার্টির নেতা ধর্মেন্দ্র যাদব বলেন, “আবহাওয়া দেখে নির্বাচনের তারিখ বদলাও। আটটা বিধানসভার নির্বাচন একসঙ্গে করাতে পারেন না, তাঁরা গোটা দেশের লোকসভা এবং বিধানসভার নির্বাচন একসঙ্গে করবেন?”
advertisement
এই বিলের সমালোচনায় সোচ্চার হন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “মনে রাখা দরকার, রাজ্য সরকার বা বিধানসভা সংসদের অধীনে নয়। বিধানসভা স্বায়ত্তশাসিত। তাই তার উপর হস্তক্ষেপ চলতে পারে না। বস্তুত এটা এক ব্যক্তির স্বপ্নপুরণ ছাড়া আর কিছু নয়।”
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ‘১০০ টাকা’ ভারতে এখন ‘কত’ বলুন তো…? শুনলেই চমকাবেন, শিওর!
সংসদে সরব হন এআইএমআইএম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। তিনি বলেন, “আমি এই বিলের বিরোধিতা করছি। এই বিল আঞ্চলিক দলগুলিকে শেষ করে দেবে। এক শীর্ষ নেতৃত্বের ‘ইগো’ সন্তুষ্ট করতেই এই বিল আনা হচ্ছে।”
এদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন— “প্রধানমন্ত্রী নিজে ক্যাবিনেট বৈঠকে বলেছেন এই বিলের বিস্তারিত চর্চার জন্য জেপিসিতে পাঠানো হোক। আমি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বলছি, যদি জেপিসির প্রস্তাব করেন তাহলে এই আলোচনা এখনই শেষ হবে।” কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল বলেন, “আমরা জেপিসির রেকমেন্ডেশন অবশ্যই আনব।”
প্রসঙ্গত, ‘এক দেশ এক ভোট’ কার্যকর করতে বেশ কিছু দিন ধরেই একটু একটু করে পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে কেন্দ্র। ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ ব্যবস্থা এ দেশে চালু হলে, তা কতটা বাস্তবসম্মত হবে— সে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। গত মার্চ মাসে কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন কমিটি রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে একটি রিপোর্ট জমা দেয়। কোবিন্দ কমিটির সুপারিশের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে বিলগুলি তৈরি করা হয়। তবে বিল সংসদে পাশ হলেও তা কার্যকর হতে এখনও অনেকটা সময় লাগতে পারে। যদি কোনও পরিবর্তন বা সংশোধনী ছাড়া বিলগুলি সংসদে পাশ হয়ে যায়, তা হলে ‘এক দেশ, এক ভোট’ ২০৩৪ সাল থেকে কার্যকর করা যেতে পারে।