“যে ব্যক্তি অন্য ব্যক্তির সঙ্গে সম্মতিক্রমে শারীরিক সম্পর্কে রয়েছেন, তাঁর অন্য ব্যক্তির জন্ম তারিখ যাচাই করার প্রয়োজন নেই। শারীরিক সম্পর্কে যাওয়ার আগে স্কুল রেকর্ড, আধার কার্ড, প্যান কার্ড দেখতে হবে না এবং জন্ম তারিখ যাচাই করতে হবে না,” বলে আদালত।
আরও পড়ুন- "দলের দরকার পরিবর্তন", কংগ্রেস সভাপতি পদে নির্বাচনে লড়বেন শশী থারুর!
advertisement
বিচারপতি জসমিত সিং বলেন, “একটি আধার কার্ড রয়েছে এবং তাতে জন্ম সাল রয়েছে ০১.০১.১৯৯৮। যাতে প্রমাণ হয়ে যায় আবেদনকারী একজন নাবালিকার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন না।” “জন্ম তারিখের বিষয়ে, মনে হচ্ছে অভিযোগকারিণীর তিনটি ভিন্ন জন্ম তারিখ রয়েছে। আধার কার্ডে তাঁর জন্ম তারিখ ০১.০১.১৯৯৮ রয়েছে এবং তাই ঘটনার দিনে সাবালিকাই ছিলেন তিনি,” বলেন তিনি।
আদালত প্রাথমিকভাবে এটিকে হানি-ট্র্যাপ বলেই মনে করছে এবং ২০১৯ এবং ২০২১ সালে ঘটা এই ঘটনার এফআইআর দায়েরে ‘অত্যন্ত দেরি’র জন্যও কোনও সন্তোষজনক কারণ দেখানো হয়নি।
আরও পড়ুন- স্টেশন থেকে অপহৃত শিশুর সন্ধান মিলল ফিরোজাবাদের বিজেপি নেতার বাড়িতে
“আমি মনে করি এই ক্ষেত্রে, যা চোখে দেখা যাচ্ছে বিষয়টা তাঁর চেয়েও অনেক বেশি কিছু। প্রসিকিউট্রিক্সের নিজের দেখানো প্রমাণ এবং এফআইআরে যেমন বলা হয়েছে, ২০১৯ সাল থেকে অভিযুক্তের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল। যদি অভিযুক্ত তাঁকে ব্ল্যাকমেল করে থাকেন, তিনি পুলিশের কাছে এলেন না কেন?” প্রশ্ন করেন বিচারক।
আদালত নির্দেশ দিয়েছে, অভিযুক্তকে ২০,০০০ টাকার জামিনে ব্যক্তিগত বন্ডে মুক্তি দেওয়া হবে এবং তাঁকে পর্যায়ক্রমে থানায় রিপোর্ট করতে হবে এবং যখনই মামলার শুনানি হবে তখন আদালতে হাজির হতে হবে।